ফতোরদা: ডার্বির রং ফের সবুজ-মেরুন। শনিবার গোয়ার ফাতোরদা স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল (SC East Bengal) ও এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan)। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পরে দ্বিতীয়ার্ধে কর্ণার থেকে গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন ড্যারেন সিডোয়েল। তবে মাত্র আট মিনিট লিড ধরে রাখতে পারে ইস্টবেঙ্গল। মাঠে নেমেই গোল করে মোহনবাগানের হয়ে আইএসএলের কণিষ্ঠতম গোলস্কোরার হন কিয়ান নাসিরি। তাঁর দুই মিনিট পরে পেনাল্টি মিস করে সবুজ মেরুনকে লিড এনে দেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেন ডেভিড উইলিয়ামস। তবে ম্যাচের ইনজুরি টাইমে ফের জ্বলে উঠেন নাসিরি। জোড়া গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করেন নাসিরি। সেই সঙ্গে সবুজ-মেরুন শিবিরকে ৩-১ জেতান জামশেদ নাসিরি পুত্র।
গোটা ৯০ মিনিট ধরে দুরন্ত লড়াই চালিয়েও ফের একবার ডার্বি থেকে খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। নাসিরির হ্যাটট্রিকে ৩-১ ম্যাচ জিতল এটিকে মোহনবাগান।
ম্যাচের ২৫ মিনিটে মাঝমাঠের নীচ থেকে আদিল খানের ফ্রি-কিক, তিরির জঘন্য ক্লিয়ারেন্সে চলে আসে রিবেইরার পায়ে। গোলকিপারের সঙ্গে সঙ্গে ১-১ পজিশনে গোল করার দুর্ধর্ষ সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন রিবেইরা। তবে সেই সুযোগ হাতছাড়া করেন ইস্টবেঙ্গলের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। তাঁর শট গোলের বাইরে বেরিয়ে যায়। মরসুমের দ্বিতীয় কলকাতা ডার্বির প্রথমার্ধ গোলশূন্যভাবেই শেষ হয়।
৫৭ মিনিটে কর্ণার থেকে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দিলেন সিডোয়েল। এক ঝাঁক খেলোয়াড়ের মাঝে সিডোয়েল বলকে আক্রমণ করে এবং তাঁর ডান পায়ের শট মনবীরের গায়ে লেগে মোহনবাগান জালে জড়িয়ে যায়। আইএসএলে এই প্রথম ইস্টবেঙ্গলের হয়ে কোনও ফুটবলার ডার্বিতে গোল করলেন।
৬৪ মিনিটে বাঁ-দিক থেকে প্রবীর দাসের ক্রস ক্লিয়ার করতে একেবারে ব্যর্থ হয় ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ। বল চলে যায় নাসিরির পায়ে। ম্যাচে সম্ভবত নিজের প্রথম টাচেই দুর্দান্ত বাঁক খাওয়ানো শটে গোল করে মোহনবাগানকে সমতায় ফেরান নাসিরি।
তারপর ইনজুরি টাইমে পরপর দু'গোল করে লাল-হলুদ শিবিরে আঁধার নামান তরুণ ফুটবলার।