সন্দীপ সরকার, কলকাতা: নীতিশ রানাকে (Nitish Rana) অধিনায়ক ঘোষণা করার দিনই স্বস্তি ফিরল কলকাতা নাইট রাইডার্স (Kolkata Knight Riders) শিবিরে। নিউজিল্যান্ড থেকে কলকাতায় পৌঁছে নাইট শিবিরে যোগ দিলেন টিম সাউদি (Tim Southee) ও লকি ফার্গুসন (Lockie Ferguson)। যাঁদের ওপর কেকেআরের জোরে বোলিং আক্রমণ অনেকটাই নির্ভর করে থাকবে।


এবং, কলকাতায় পৌঁছেই ইডেন গার্ডেন্সে হাজির হয়ে গেলেন দুই কিউয়ি তারকা। সাউদিকে মাঠে বেশ চনমনে দেখিয়েছে। বাউন্ডারি লাইনের ধারে বেশ কিছুক্ষণ ফিল্ডিং প্র্যাক্টিস করেন তিনি। প্রথম ম্যাচে তাঁর খেলার সম্ভাবনা প্রবল।


তবে অনেকে উৎসুক লকি ফার্গুসনকে নিয়ে। কারণ, নিউজিল্যান্ডের ডানহাতি পেসারই নাইটদের শিবিরে দ্রুততম বোলার। নিয়মিতভাবে ঘণ্টায় দেড়শো কিলোমিটার গতিতে বল করেন। প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের গতির আগুনের সামনে পরীক্ষা নিতে লকিই সেরা লগ্নি কেকেআরের।


কিন্তু কিউি পেসারকে ভোগাচ্ছে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট। সম্প্রতি দেশের মাটিতে একটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলতে গিয়ে ডান পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান লকি। তারপরেই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে নিউজিল্যান্ডের ওয়ান ডে সিরিজ ছিল। যে সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলার কথা ছিল ফার্গুসনের। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ খেলেই তাঁর ভারতের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে সেই ম্য়াচে খেলতে পারেননি ফার্গুসন। পরে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড থেকে জানানো হয় যে, ফার্গুসনের ডান পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট রয়েছে। যে কারণে তাঁকে বিশ্রাম দেওয়া হয়।


সেই থেকে কেকেআর শিবিরও উদ্বেগে। কিউয়ি ফাস্টবোলারকে কি পাওয়া যাবে প্রথম ম্যাচে?


নাইটদের প্রথম ম্যাচ ১ এপ্রিল। মোহালিতে পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে। যে ম্যাচ খেলতে ২৯ মার্চ চণ্ডীগড়ে উড়ে যাবেন কেকেআর ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফেরা। সেই ম্যাচে কি খেলতে পারবেন ফার্গুসন?


সোমবার মাঠে তাঁর হাঁটাচলা দেখে অবশ্য কোনও অস্বস্তি মনে হয়নি। এদিন নিজেদের মধ্যে একটি প্র্যাক্টিস ম্যাচ খেলে কেকেআর। যার মধ্যে এক দলে সুযোগ পেয়েছিলেন বাংলার পাঁচ ক্রিকেটার। সেই ম্যাচে সাউদি ও ফার্গুসন কেউই খেলেননি। তাঁদের বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল দীর্ঘ বিমানযাত্রার ধকল যাতে কাটিয়ে উঠতে পারেন সেই কারণে।


তবে কেকেআর শিবির সূত্রে খবর, ম্যাচের আগে পর্যন্ত ফার্গুসনকে নিয়ে অপেক্ষা করা হবে। ম্যাচের আগের দিন দেখে নেওয়া হবে পুরো গতিতে বল করতে তাঁর কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না। যদি তিনি নিজে অস্বস্তি বোধ করেন, তাহলে লম্বা টুর্নামেন্টের কথা ভেবে ঝুঁকি নাও নিতে পারে কেকেআর।