রাওয়ালপিণ্ডি: বয়স যে নেহাতই একটা সংখ্যা, ফের একবার প্রমাণ করলেন জেমস অ্যান্ডারসন (James Anderson)। সেই সঙ্গে ক্রিকেটে নতুন এক উচ্চতা স্পর্শ করলেন ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি পেসার।
রাওয়ালপিণ্ডিতে পাকিস্তানকে ৭৪ রানে প্রথম টেস্টে হারিয়ে দিল ইংল্যান্ড। সেই ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৫ উইকেট নিলেন অ্যান্ডারসন। যার মধ্যে দ্বিতীয় ইনিংসে নিলেন ৪ উইকেট। তাঁর শিকারের ঝুলিতে ইমাম উল হক, মহম্মদ রিজওয়ান, জাহির মেহমুদ ও হ্যারিস রউফ। সেই সঙ্গে অনিল কুম্বলেকে উইকেটের সংখ্যায় পেরিয়ে গেলেন অ্যান্ডারসন।
ক্রিকেটের সব ধরনের ফর্ম্যাট মিলিয়ে ৯৫৬ উইকেট রয়েছে কুম্বলের। ৯৫৯ শিকার হয়ে গেল অ্যান্ডারসনের। মুথাইয়া মুরলীধরন (১৩৪৭) ও শেন ওয়ার্ন (১০০১)-এর পরে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি অ্যান্ডারসনই।
যে টেস্টের প্রথমার্ধে শুধু ব্যাটারদের দাপট দেখা গিয়েছে, সেই টেস্টই বোলারদের দাপটে জিতে নিল ইংল্যান্ড। পাকিস্তানকে (Pakistan vs England) তাদের ঘরের মাটিতে প্রথম টেস্টে ৭৪ রানে হারিয়ে দিল বেন স্টোকসের (Ben Stokes) ইংল্যান্ড।
প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের চার ব্যাটারের সেঞ্চুরি। বোর্ডে পাহাড়প্রমাণ ৬৫৭ রান। জবাবে ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠা পাকিস্তানের তারকাদেরও। বাবর আজম-সহ তিন ব্যাটারের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৫৭৯ রান তোলা। সব মিলিয়ে মনে হয়েছিল, যে মাঠে ক্রিকেট খেলে শোয়েব আখতারের উত্থান, সেই রাওয়ালপিণ্ডিতে ব্যাটারদের শাসন দেখেই কাটবে।
কিন্তু ক্রিকেটকে কেন মহান অনিশ্চয়তার খেলা বলা হয়, তার প্রমাণ পাওয়া গেল ম্যাচের পরের দিকে। যেখানে দ্বিতীয় ইনিংসে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ভঙ্গিমায় খেলে দ্রুত ২৬৪/৭ তুলে ইনিংস ডিক্লেয়ার দিল ইংল্যান্ড। আর চতুর্থ ইনিংসে পাকিস্তান অল আউট হয়ে গেল ২৬৮ রানে। জেমস অ্যান্ডারসন ও ওলি রবিনসন চারটি করে উইকেট নিলেন।
যে ম্যাচ শুরুর আগে দলগঠন নিয়েই সমস্যায় ছিল ইংল্যান্ড। সংক্রমণের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল কার্যত গোটা দল। ম্যাচ পিছিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছিল। তার ওপর ব্যাটিং সহায়ক পিচ। সেখান থেকে নাটকীয় পরিস্থিতিতে ম্যাচ জিতে নিয়ে তৃপ্ত বেন স্টোকস। এই জয়কে ইংল্যান্ডের সর্বকালের অন্যতম সেরা বলেও আখ্যা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: আজ দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে খেলবেন নেমার? কী বলছেন ব্রাজিলের কোচ?