সন্দীপ সরকার, কলকাতা: ইডেনে সৌরাষ্ট্রের বোলারদের সামনে কেঁপে গেল বাংলা (Ben vs Sau)। মাত্র ১৭৪ রানে শেষ হয়ে গেল বাংলার প্রথম ইনিংস। প্রথম ইনিংসের আয়ু হল মাত্র ৫৪.১ ওভার।
বাংলা (Ranji Trophy) শিবির থেকে বলা হচ্ছিল, গতির কড়াইয়ে ফেলা হবে বিপক্ষকে। পেস-অস্ত্রে ঘায়েল করা হবে সৌরাষ্ট্রকে। রাজকোটের মন্থর গতির, লো বাউন্সের উইকেটে খেলে যারা অভ্যস্ত, তাদের পরীক্ষা নেওয়া হবে গতি ও বাউন্সে। যে কারণে সেমিফাইনালে পারফর্ম করেও বাদ পড়তে হয়েছে প্রদীপ্ত প্রামাণিককে। বাঁহাতি স্পিনারের পরিবর্তে খেলছেন মিডিয়াম পেসার আকাশ ঘটক। কিন্তু ম্যাচে দেখা গেল, সবুজ পিচের কৌশল ব্যুমেরাং হয়ে ফালাফালা করে দিল বাংলা শিবিরকেই।
টস জিতে বাংলাকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন সৌরাষ্ট্রের অধিনায়ক জয়দেব উনাদকট। প্রথম ওভারেই বাংলা ইনিংসে ধাক্কা দেন তিনি। ঘড়িতে তখন বাদে ৯.০৬। উনাদকটের বলে শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ। মাত্র ২৫ মিনিটের মধ্যে চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলা। যখন মনে হচ্ছিল, একশো রানের মধ্যেই না অল আউট হয়ে যায় বাংলা, তখনই প্রত্যাঘাত। ব্যাট হাতে পাল্টা লড়াই শুরু করেন শাহবাজ আমেদ ও অভিষেক পোড়েল।
বৃহস্পতিবার শাহবাজ যখন ব্যাট করতে নামলেন, স্কোরবোর্ডে জ্বলজ্বল করছে ৬৫/৬। ড্রেসিংরুমে ফিরে গিয়েছেন মনোজ তিওয়ারি, অনুষ্টুপ মজুমদার, অভিমন্যু ঈশ্বরণরা। খেলা দেখতে আসা হাজার তিনেক সমর্থকের মধ্যে তখন যেন শ্মশানের নীরবতা। ইডেন গার্ডেন্সের ক্লাব হাউস চত্বর থমথমে।
আর জ্বলে ওঠার জন্য এরকম পরিস্থিতিই খুঁজে নেন শাহবাজ। সৌরাষ্ট্রের সেরা বোলার জয়দেব উনাদকট। শাহবাজ প্রথম বলটাই খেললেন উনাদকটের ওভারের। আর প্রথম বল নিখুঁত ফ্লিক করে বাউন্ডারিতে পাঠালেন শাহবাজ।
চাপের মুখে ঝকঝকে হাফসেঞ্চুরি করলেন শাহবাজ। ১১২ বলে ৬৯ রান করলেন। শাহবাজের ইনিংসে ছিল ১১টি বাউন্ডারি। সপ্তম উইকেটে অভিষেক পোড়েলের সঙ্গে ১০১ রানের লড়াকু পার্টনারশিপ গড়লেন শাহবাজ। তিনি যখন আউট হয়ে ফিরলেন, উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দিলেন সমর্থকেরা। ততক্ষণে প্রাণ ফিরে পেয়েছে গ্যালারি। চা পানের বিরতিতে বাংলার স্কোর ছিল ১৬৬/৭।
চা পানের বিরতির পর অবশ্য বাংলার ইনিংস স্থায়ী হল আর মাত্র ৩.১ ওভার। আর ৮ রান যোগ করে শেষ তিন উইকেট হারাল বাংলা। এবার লড়াই বাংলার বোলারদের। সৌরাষ্ট্রের ব্যাটিংকে ১৭৪ রানের মধ্যে আটকে রাখার চ্যালেঞ্জ আকাশ দীপ, মুকেশ কুমার, ঈশান পোড়েলদের।