ইনদওর: ভাঙা চোয়াল নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে অনিল কুম্বলের (Anil Kumble) বোলিং ভারতীয় ক্রিকেটে রূপকথা হয়ে রয়েছে। আইপিএলে হাতে সেলাই নিয়ে সেঞ্চুরি করে নজির গড়েছিলেন বিরাট কোহলিও (Virat Kohli)।
ঘরোয়া ক্রিকেটে হলেও, সাহসিকতার দৃষ্টান্ত তৈরি করলেন হনুমা বিহারি (Hanuma Vihari)। বাঁহাতে কব্জি ভেঙে গিয়েছে। কিন্তু তবু লড়াই ছাড়েননি। বাঁহাতেই ব্যাটিং করলেন। এবং সেটাও আবেশ খানের মতো পেসারদের বিরুদ্ধে। রঞ্জি ট্রফিতে বিরল এক উদাহরণ তৈরি করলেন হনুমা। ইনদওরে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে অন্ধ্রপ্রদেশ প্রথম ইনিংসে তুলল ৩৭৯ রান। হনুমা করলেন ৫৭ বলে ২৭ রান।
হনুমার অবশ্য বাইশ গজে সাহসিকতার নিদর্শন এই প্রথম নয়। সিডনিতে হ্যামস্ট্রিংয়ে গুরুতর চোট নিয়ে আর অশ্বিনের সঙ্গে ব্যাটিং করে টেস্ট ম্যাচ বাঁচিয়েছিলেন হনুমা। রঞ্জি ট্রফিতে আবেশ খানের বাউন্সারে বাঁহাতের কব্জি ভেঙে যায় হনুমার। মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হন তিনি। তবে পরে মাঠে ফেরেন হনুমা। সকলকে হতবাক করে দিয়ে। যদিও বাঁহাতের কব্জি ভাঙা থাকায় তিনি ডানহাতে ব্যাট করেননি। কারণ, ডান হাতে ব্যাট করলে বাঁহাতের কব্জিতে ফের চোট লাগার আশঙ্কা ছিল। তাই আশ্চর্যজনকভাবে বাঁহাতে ব্যাটিং করেন হনুমা।
যখন চোট পেয়েছিলেন, ৩৭ বলে ১৬ রান করেছিলেন হনুমা। চোট পাওয়ার পর স্ক্যান করিয়ে দেখা যায়, তাঁর কব্জি ভেঙেছে। ৫ থেকে ৬ সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে হনুমাকে। অন্ধ্রপ্রদেশ দল ঠিক করে, প্রয়োজন পড়লে তবেই ফের মাঠে নামবেন হনুমা।
ম্যাচে সেঞ্চুরি করেন অন্ধ্রের দুই ব্যাটার রিকি ভুঁই ও কর্ণ শিণ্ডে। একটা সময় ৩২৩/২ ছিল স্কোর। তারপরই ব্যাটিং বিপর্যয়। ৩৫৩/৯ হয়ে যায় অন্ধ্রপ্রদেশ। সেই সময়ই মাঠে ফেরেন হনুমা। বাঁহাতে ব্যাটিং শুরু করেন। পুরো টেপ জড়িয়ে রেখেছিলেন বাঁহাতে। কার্যত এক হাতেই ব্যাট করেন। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তে তা ভাইরাল হয়ে যায়। লাঞ্চের সময় প্রায় ১০ ওভার ব্য়াটিং করে দশম উইকেটে ২৬ রান যোগ করেছিলেন হনুমা ও ললিত মোহন। আবেশকে বাউন্ডারিও মারেন হনুমা। সব মিলিয়ে ৫৭ বলে ২৭ রান করে আউট হন তিনি।