নয়াদিল্লি: পিচ বিতর্কে তোলপাড় ভারতীয় ক্রিকেট মহল। বুধবার দিল্লির কর্নেল সিংহ স্টেডিয়ামে পাঞ্জাব বনাম রেলওয়েজের মধ্যে রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) ম্যাচ খারাপ পিচের কারণে স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। বিপজ্জনক পিচের কারণে পাঞ্জাব ব্যাটিং করতে রাজি হয়নি। দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ ওভারের পরে তাদের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ১৮ রান। এর পরেই মনদীপ সিংহের নেতৃত্বাধীন দল বিপজ্জনক পিচের দাবি তুলে খেলতে রাজি হয়নি।


সূত্রের খবর, রাঁচির একজন নিরপেক্ষ কিউরেটর ম্যাচের পিচটি বেছে নিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে নতুন পিচে ম্যাচটি আবার শুরু হবে। তবে ম্যাচটি পুরোপুরি বাতিল করা হয়নি। যেখানে খেলা বন্ধ হয়েছে, বৃহস্পতিবার সেখান থেকেই শুরু হবে খেলা।


পাঞ্জাব তাদের প্রথম ইনিংসে ১৬২ রানে অলআউট হয়ে যায়। মাত্র ৪৮.১ ওভার খেলতে পেরেছিল। আদর্শ সিংহ একাই ৫ উইকেট নেন। যুবরাজ সিংহ এবং কর্ণ শর্মা ২টি করে উইকেট নেন।


রেলওয়েজের ব্যাটসম্যানরাও এই পিচে লড়াই করেছেন। এবং রেলের দল মাত্র ১৫০ রানেই অল আউট হয়ে গিয়েছিল। পাঞ্জাবের বালতেজ সিংহ ছয় উইকেট তুলে নেন। সিদ্ধার্থ কৌল ২টি উইকেট নিয়েছেন।


পাঞ্জাব দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে আরও চাপে পড়ে। ৮ ওভারে ১৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর তারা আর এই পিচে খেলতেই রাজি হয়নি। দিল্লিতে এমন ঘটনা দ্বিতীয়বার ঘটল। যখন পিচের কারণে ম্যাচ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হলেন আম্পায়াররা। এর আগে ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারত এবং শ্রীলঙ্কার মধ্যে একটি ওয়ান ডে একই কারণে পরিত্যক্ত হয়েছিল।


চালকের আসনে বাংলা


প্রথম দিন অনুষ্টুপ মজুমদারের (Anustup Majumdar) চওড়া ব্যাট দলকে বিপন্মুক্ত করেছিল। ইডেনে দ্বিতীয় দিন বল হাতে ভেল্কি দেখালেন শাহবাজ আমেদ। সব মিলিয়ে হিমাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচের দ্বিতীয় দিনই বাংলা শিবিরে জয়ের স্বপ্ন।


৩১০/৯ স্কোরে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছিল বাংলা। ১৫৯ রান করে ক্রিজে ছিলেন অনুষ্টুপ। বুধবার দিনের দ্বিতীয় বলেই এলবিডব্লিউ হয়ে যান অনুষ্টুপ। আগের দিনের স্কোরেই। বাংলাও আগের দিনের স্কোরেই প্রথম ইনিংস শেষ করে।


জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে হিমাচল প্রদেশ। মাত্র ৫ রান করে ফিরে যান ওপেনার রাঘব ধবন। একমাত্র প্রশান্ত চোপড়া ৭১ রান করে পাল্টা লড়াই চালান। শাহবাজ ৫ উইকেট নেন। ১৩ ওভারে মাত্র ৩২ রান খরচ করে। ১৩০ রানে অল আউট হয়ে যায় হিমাচল প্রদেশ। ৪৬.৫ ওভারে শেষ হয়ে যায় হিমাচল প্রদেশ। ২টি করে উইকেট ঈশান পোড়েল ও আকাশ দীপের। পেসার অলরাউন্ডার সায়নশেখর মণ্ডল ১ উইকেট নেন।            


আরও পড়ুন: কলকাতার মাঠ হোক বা খাবার, অভিযোগ করেননি মেসি, আর্জেন্তিনার বাংলা সফরের স্মৃতি