জয়পুর: ১৭২ রান তাড়া করতে নেমে রাজস্থান রয়্যালসের (Rajasthan Royals) ব্যাটাররা কেউই লড়াইই করতে পারল না। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (Royal Challengers Bangalore) মাত্র ৫৯ রানেই শেষ হয়ে গেল রাজস্থানের ইনিংস। আরসিবির হয়ে তিন উইকেট নিলেন ওয়েন পার্নেল (Wayne Parnell)। ১১২ রানের বিরাট ব্যবধানে ম্যাচ জিতে প্লে-অফের লড়াইয়ে প্রবলভাবে ফিরে এলেন বিরাট কোহলি, ফাফ ডুপ্লেসিরা।


রাজস্থানের হয়ে দুই ওপেনার বেশ ভাল ফর্মে ছিলেন। যশস্বী জয়সওয়াল নিজের শেষ পাঁচ ম্যাচে একটি শতরান ও দুইটি অর্ধশতরান হাঁকান। কঠিন পিচে নতুন বলের বিরুদ্ধে শুরুটা ভাল করা খুবই প্রয়োজনীয় ছিল। কিন্তু শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়। দুই রাজস্থান ওপেনার যশস্বী ও জস বাটলার, উভয়েই শূন্য রানে আউট হন। যশস্বীকে প্রথম ওভারে আউট করেন মহম্মদ সিরাজ। দ্বিতীয় ওভারে ওয়েন পার্নেল ফেরান বাটলারকে। একই ওভারে রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনও ৪ রানে ফেরেন।


শুরুর দিকে পরপর তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় রাজস্থান। রয়্যালসরা সেই ধাক্কা সামলেই উঠতে পারেননি। এই ম্যাচেই প্রথমবার আইপিএলে ব্যাট হাতে মাঠে নামতে দেখা যায় জো রুটকে। তিনিও ১০ রানের বেশি করতে পারেননি। রুটকেও ফেরান পার্নেলই। শুরুতে যেখানে আরসিবির দুই পেসার সিরাজ ও পার্নেল বল আগুন জ্বালান, সেখানে মাঝের ওভারগুলিতে মাইকেল ব্রেসওয়েল ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের স্পিনের ফাঁদে নাস্তানাবুদ হতে হয় রাজস্থানকে। একের পর এক দেবদূত পাডিক্কাল (৪), ধ্রুব জুরেলকে (১) ফেরান ব্রেসওয়েল।


গোঁদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো অশ্বিন কোনও বল না খেলেই রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। রাজস্থানের হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান তারকা শিমরন হেটমায়ার একমাত্র খানিকটা লড়াই করার চেষ্টা করছিলেন বটে। তিনি বেশ কয়েকটি বড় শটও খেলেন। তবে রাজস্থানের শেষ ভরসাকে আউট করেন ম্যাক্সওয়েল। ১৯ বলে ৩৫ রান করা হেটমায়ার বড় শট মারতে গিয়েই আউট হন। রাজস্থানের লোয়ার অর্ডারও বেশি লড়াই করতে পারেনি। ফলত আইপিএলের তৃতীয় ক্ষুদ্রতম, ৫৯ রানেই শেষ হয়ে যায় রাজস্থানের ইনিংস। অবশ্য এটি রাজস্থানের সবথেকে কম রানের স্কোর নয়, তাঁরা এর আগে ৫৮ রানেও একবার অল আউট হয়েছে।


এই ম্য়াচে রাজস্থান হারায় ও আরসিবি জেতায় জমে গেল আইপিএলের প্লে-অফের লড়াই। উভয় দলের দখলেই আপাতত ১২ পয়েন্ট রয়েছে।


আরও পড়ুন: গরমে ব্রন নিয়ে জেরবার ? এই নিয়মগুলি মেনে চললে মিলবে মুক্তি