নয়াদিল্লি: দীর্ঘদিন চোটের কারণে ভারতীয় দলের বাইরে ছিলেন জসপ্রীত বুমরা (Jasprit Bumrah)। এশিয়া কাপে খেলতে পারেননি তারকা ফাস্ট বোলার। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চলতি সিরিজে ভারতীয় দলে ফিরলেও প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে একাদশে জায়গা পাননি বুমরা। এরপরেই তাঁর ফিটনেস নিয়ে ফের একবার জল্পনা শুরু হয়। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে (IND vs AUS 2nd T20I) কী ভারতীয় একাদশে ফিরবেন বুমরা?


বুমরার ফিটনেস আপডেট


ম্যাচের আগের দিন ভারতীয় দলের তারকা ব্যাটার সূর্যকুমার যাদবকে (Suryakumar Yadav) বুমরার ফিটনেসের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি প্রথমে তেমন কিছু মন্তব্য করতে চাননি। বরং দলের ফিজিও এবং ম্যানেজমেন্টকেই এই বিষয়ে প্রশ্ন করার জন্য বলেন সূর্য। সাংবাদিক সম্মলনে তিনি বলেন, 'আমি এই বিষয়ে (বুমরার ফিটনেসের বিষয়ে) তেমন কিছুই জানি না। এটা আমার বিভাগ নয়, দলের ফিজিও এবং টিম ম্যানেজমেন্টকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা উচিত। তবে হ্যাঁ, এটা বলতে পারি, দলের সকলেই ফিট এবং দলের অন্দরমহলের পরিবেশটাও খুবই ভাল।'


বোলারদের পাশে সূর্য


তবে পরে আরও একটু চাপ দেওয়ায় সূর্য জানান যে বুমরা দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নামার জন্য ফিট। 'ও (বুমরা) একেবারে প্রস্তুত (মাঠে নামার জন্য)। চিন্তার কোনও কারণ নেই।' গত ম্যাচে ব্যাট হাতে ২০৮ রান তুললেও ম্যাচ জিততে ব্যর্থ হয় ভারত। দলের 'ডেথ বোলিং' আবারও প্রবলভাবে প্রশ্নের মুখে পড়ে। তবে সূর্যকুমার কিন্তু দলের বোলারদের পাশেই দাঁড়াচ্ছেন। 'গত ম্যাচের পর এই বিষয়ে আমাদের মধ্যে তেমন কোনও কথা হয়নি। তবে সকলেই দেখেছে গতদিন ম্যাচ অনেকটা সময় পর্যন্ত চলেছে এবং মাঠে শিশিরও পড়েছে। ওদেরকে (অস্ট্রেলিয়ার) ম্যাচ জেতার জন্য বেশি বাহবা দিতে হবে। ওরা শেষ পর্যন্ত আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে জেতে।' মত সূর্যর।


হর্ষলের কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ


এশিয়া কাপ হোক বা গত বারের বিশ্বকাপ, 'ডেথ বোলিং' বারবারই ভারতীয় দলকে হালে সমস্যায় ফেলেছে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম ম্যাচেও তার অন্যথা হল না। হর্ষল ১৮তম ওভার বল করতে এসে মোট ২২ রান খরচ করেন। এরপরেই সমর্থকদের মতো বিশেষজ্ঞরা হর্ষলের বোলিং নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন ভারতীয় তারকা সঞ্জয় মঞ্জরেকর (Sanjay Manjrekar) বলেন, 'হর্ষলকে আমরা বহুদিন ধরেই দেখছি। ও মন্থর গতির পিচে বেশ ভাল বল করে। ওই ধরনের পিচে ওর মন্থর গতির বল ভীষণই কার্যকরী হয়ে এবং ব্যাটাররা সহজে সেই বল খেলতেও পারে না।'


সদ্যই চোট সারিয়ে ফিরলেও, হর্ষলকে কিন্তু ভারতীয় দলের বিশ্বকাপ স্কোয়াডেও রাখা হয়েছে। তবে পরের মাসের বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার পাটা পিচে হর্ষলের মন্থর গতির বল এবং হর্ষল, কতটা কার্যকারী হবেন, সেই নিয়েও মঞ্জরেকরের মনে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। 'গত ম্যাচে ওর মন্থর গতির বলগুলি ১২০ কিমির আশেপাশে ছিল। গতির খুব একটা বেশি তারতম্য কিন্তু দেখা যায়নি। সুতরাং, পাটা, বাউন্স সহায়ক পিচে হর্ষলের বোলিংটা চিন্তারই বিষয়। অস্ট্রেলিয়ায় এমনই পিচ দেখা যাবে। ভারতীয় টিম ম্য়ানেজমেন্টকে এই বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতেই হবে।' বলেন ভারতীয় প্রাক্তনী।


আরও পড়ুন: ২০২৩ সালের আইপিএলে ঘটতে চলেছে বড় বদল, নিশ্চিত করলেন বোর্ড সভাপতি সৌরভ