অ্যাডিলেড: পাকিস্তান ম্যাচ বাদে গোটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (T20 World Cup) ব্যাট হাতে তেমন রান করতে পারেননি হার্দিক পাণ্ড্য (Hardik Pandya)। তবে বড় ম্যাচে বরাবরই পারফর্ম করেন হার্দিক। সেমিফাইনালের মতো চাপের ম্যাচে ফের একবার অনবদ্য পারফর্ম করলেন হার্দিক। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে (IND vs ENG) সূর্যকুমার যাদব আউট হওয়ার পর হার্দিক যখন ব্যাটে নামেন তখন ১২তম ওভারে ৭৫ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বিরাট চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারতীয় দল। তবে নিজের পরিপক্কতার পরিচয় দিয়ে ভারতকে লড়াইয়ের রশদ এনে দিলেন হার্দিক।
বিধ্বংসী হার্দিক
নিজের প্রথম ১৫ বলে মাত্র ১৩ রান করেছিলেন হার্দিক। চাপের মাঝে ইনিংসের হাল ধরাই ছিল তাঁর লক্ষ্য। তবে শেষের দিকে নিজের বড় শট মারার দক্ষতার কথা সকলকে আবারও মনে করিয়ে দিলেন পাণ্ড্য। পরের ১৮ বলে ৫০ রান করেন হার্দিক। বিরাট কোহলি ও তাঁর ইনিংসে ভর করেই ভারতীয় দল ১৬৮ রান তোলে। টস জিতে ভারতকে প্রথম ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন ইংরেজ অধিনায়ক বাটলার। কৌশল ছিল, প্রথমে প্রতিপক্ষকে যথাসম্ভব অল্প রানে বেঁধে রাখা। তারপর লক্ষ্য বুধে নিয়ে অঙ্ক কষে সেই রান তাড়া করা। যে কোনও বড় ম্যাচে যা অধিকাংশ অধিনায়কের পছন্দের স্ট্র্যাটেজি। তবে রোহিত টসের পর জানিয়েছিলেন, তিনিও প্রথমে ব্যাটিং করে নিতে চেয়েছিলেন।
ব্যর্থ ওপেনাররা
ব্যাট করতে নেমে অবশ্য শুরুতেই চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত। ক্রিস ওকসের বলে মাত্র ৫ রান করে ফেরেন কে এল রাহুল। হাতে চোট থাকলেও, ক্রিজে টিকে ছিলেন রোহিত শর্মা। একবার তাঁর ক্যাচও পড়ে। মনে করা হয়েছিল যে, হয়তো ছন্দে ফেরার জন্য এরকম বড় মঞ্চই বেছে নেবেন রোহিত। কিন্তু ২৮ বলে ২৭ রান করে ক্রিস জর্ডানের বলে ফেরেন তিনি। সূর্যকুমার যাদব শুরুটা ভাল করেছিলেন। কিন্তু ১০ বলে ১৪ রান করে তিনিও জর্ডানের শিকার।
সেখান থেকেই ইনিংসের হাল ধরেন কোহলি ও হার্দিক। চতুর্থ উইকেটে ৪০ বলে ৬১ রান যোগ করে পাল্টা লড়াই শুরু করেন দুজনে। ৩৯ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন কোহলি। কিন্তু পরের বলেই তিনি ফিরে যান। হার্দিকও হাফসেঞ্চুরি করেন। শেষ পর্যন্ত ক্রিস জর্ডানের ইনিংসের একেবারে শেষ বলে হিট উইকেট হয়ে যান তিনি। ততক্ষণে অবশ্য ভারতের হাতে লড়াই করার মতো পুঁজি জমা হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ইংল্যান্ড ওপেনারদের দাপটে চাপে ভারত, পাওয়ার প্লেতে উঠল ৬৩