কুলিজ: বাংলার পেসারের আগুনে স্পেলেই বিপর্যয় নামল বাংলাদেশ শিবিরে। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ১১১ রান করে অল আউট হয়ে গেল বাংলাদেশ। আর ভারতের হয়ে আগুনে বোলিং করলেন বাংলার রবি কুমার। যাঁর প্রথম স্পেলের পরিসংখ্যান ৫-১-৫-৩।


রবির প্রথম স্পেল বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ের কোমর ভেঙে দেয়। পরপর ফিরে যান মেহফিজুল ইসলাম (২), ইফতেকার হোসেন (১) ও প্রান্তিক নাবিল (৭)। শেষ পর্যন্ত ৩৭.১ ওভারে মাত্র ১১১ রানে অল আউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।


শৈশবে রবি কখনও ভাবেননি যে, তিনি ক্রিকেটার হবেন। উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে পৈতৃক ভিটে। সেখানে নেহাত সময় কাটাতেই ক্রিকেট খেলতেন। আর পাঁচটা বাচ্চার মতো। টেনিস বলে। বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে এবিপি লাইভকে রবি বলেছিলেন, 'ক্রিকেটার হওয়ার কথা ভাবিনি। ছোটবেলা আলিগড়ে একটি স্থানীয় টুর্নামেন্টে দেখেছিলেন অরবিন্দ স্যার। আমার বোলিং ভাল লেগে যায়। বাবা আমাকে ক্রিকেট খেলতে দিতে চাননি। কোচের জোরাজুরিতে রাজি হন। আমার সব দায়িত্ব নেন অরবিন্দ স্যার। তারপর আমি ক্রিকেটকে ভালবেসে ফেলি।' আলিগড়ে অরবিন্দের অ্যাকাডেমিতে খেলা শুরু। এখন ছাত্রকে তালিম দিতে মাঝে মধ্যে কলকাতায় আসেন অরবিন্দ। রবিও সময় পেলেই যান আলিগড়ে।


কলকাতায় জন্ম। পরে আলিগড়ে যান রবি। তবে ক্রিকেটের টানেই কলকাতায় ফিরে আসা। নাকতলায় কাকু-কাকিমার কাছে থাকেন। রবি বলেছিলেন, 'আমি নিজেকে বাংলারই একজন মনে করি। কলকাতাতেই জন্ম। বাংলাই আমার বাড়ি। এখানকার মানুষজন, খাবার-দাবার সবই ভাল লাগে। আমি বাংলারই হয়ে গিয়েছি।'


বাঁহাতি পেসারের দক্ষতায় শনিবার মুগ্ধ সকলে। বিশেষ করে তিনি যেভাবে বল ব্যাটারদের ভিতরের দিকে নিয়ে এসেছেন, তা দেখে দরাজ গলায় সকলে প্রশংসা করেছেন রবির।


গত অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে বাংলাদেশের কাছে হেরেই স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল ভারতের। এবার কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশকে হারিয়ে সেই পরাজয়ের মধুর প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ ভারতের সামনে।


নাসিরির হ্যাটট্রিক, ডার্বিতে ফের মোহনবাগান-রাজ