গায়ানা: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম দুই ওয়ান ডেতে দাপুটে বোলিং পারফরম্যান্সে ভর করে সিরিজ আগেই জিতে নিয়েছিল বাংলাদেশ। তৃতীয় ওয়ান ডেতে (WI vs BAN 3rd ODI) নিকোলাস পুরানদের হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্যে মাঠে নেমেছিল তামিম ইকবালের (Tamim Iqbal) নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। আবারও বোলারদের দাপটে ভর করে সহজেই ম্যাচ জিতে নিল টাইগাররা।


টসে জিতে তামিম প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন। মাত্র ১৬ রানের মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের তিন টপ অর্ডার ব্যাটারকে সাজঘরে ফিরিয়ে দিয়ে তামিমের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণিত করেন মুস্তাফিজুর রহমান ও তাইজুল ইসলাম (Taijul Islam)। তবে তিন উইকেট হারিয়ে লড়াইয়ে ফেরার চেষ্টা করে উইন্ডিজ। অধিনায়ক পুরান ও কেসি কার্টি ৬৭ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। কিন্তু বড় পার্টনারশিপ বলতে এটাই যা। কার্টি ৩৩ রানে আউট হওয়ার পর, একদিক থেকে পর পর নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।


একা লড়েন পুরান


পুরান একদিকে ক্রিজ আঁকড়ে পড়ে থাকলেও, তাকে কেউই সঙ্গ দেননি। ১৭৮ রানেই গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংস। পুরানকে ৭৩ রানে ফেরান তাইজুল। তিনিই এই ম্যাচে বাংলাদেশের সেরা বোলার। পাঁচটি উইকেট আসে তার খাতায়। মুস্তাফিজুর ও নাসুম আহমেদ দুইটি করে উইকেট নেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশও শুরুতেই ওপেনার নাজমুল হোসনকে দলগত ২০ রানের মাথায় হারায়।


তবে তামিম ও লিটন দাস অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ গড়ে ইনিংসে স্থিরতা আনে। তামিম ৩৪ রানে আউট হয়ে গেলেও লিটন ৬৫ বলে ৫০ রান করে ক্রিজ ছাড়েন। লিটনের আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ২০ রানে মোট তিন উইকেট হারিয়ে বাংলাংদেশ একটু চাপে পড়েছিল বটে। নুরুল হাসান ৩২ রান করে শেষ পর্যন্ত ক্রিজে অপরাজিত থেকে দলের জয় সুনিশ্চিত করেন। নয় বল বাকি থাকতে চার উইকেটেই ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ। 


তামিমের রেকর্ড


লো স্কোরিং সিরিজে তিন ম্যাচে মোট ১১৭ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এর জেরেই তাকে সিরিজের সেরা খেলোয়াড় ঘোষণা করা হয়। সঙ্গে সঙ্গেই এক রেকর্ড গড়ে ফেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। প্রথম বিদেশি খেলোয়াড় হিসাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে একাধিক ওয়ান ডে সিরিজে সেরা নির্বাচিত হলেন তামিম। এই রেকর্ড আর কারুর নেই। ২০১৮ সালেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ওয়ান ডে সিরিজের সেরা হয়েছিলেন তামিম। 


আরও পড়ুন: ফেসবুকে ছোট্ট পোস্টেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে বিদায় জানালেন তামিম ইকবাল