মুম্বই: ডব্লিউপিএলে (WPL 2023) দাপটের সঙ্গে নাগাড়ে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (Mumbai Indians)। প্রথম ম্যাচে গুজরাত জায়ান্টসকে ১৪৩ রানে হারিয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। সোমবার ১৫৫ রান তাড়া করতে নেমে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে (Royal Challengers Bangalore) নয় উইকেটে হারাল মুম্বই। এদিন বল হাতে তিন উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতেও অপরাজিত ৭৭ রানের ইনিংস খেললেন হেইলি ম্যাথিউজ (Hayley Matthews)।


শুরু থেকেই দাপট


১৫৬ রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই মুুম্বই ওপেনাররা আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করতে শুরু করেন। ইয়াস্তিকা ও হেইলি ওপেনিংয়েই ৪৫ রান যোগ করেন। তবে প্রীতি বোসের বলে পঞ্চম ওভারে ২৩ রানে সাজঘরে ফেরেন ইয়াস্তিকা। অবশ্য ইয়াস্তিকা আউট হলেও, হেইলি কিন্তু নিজের ইনিংস চালিয়ে যান। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন ন্যাট স্কিভার-ব্রান্ট। দ্বিতীয় উইকেটে ১১৪ রান যোগ করেন ন্যাট ও হেইলি। এই দুই তারকার পার্টনারশিপে ভর করেই ম্যাচ জিতে নেয় মুম্বই।


ন্যাট ব্যাটে নামার পর তো মুম্বইয়ের রান রেট আরও বেড়ে যায়। আরসিবির বোলারার ম্যাচে বিন্দুমাত্র প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ হয়। মাত্র ২৯ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন ন্যাট। হেইলির ৭৭ রান আসে ৩৮ বলে। এই জয়ের সুবাদে লিগ তালিকার শীর্ষে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স নিজেদের দখল আরও মজবুত করল। অপরদিকে, দুই ম্যাচের দুইটিতেই পরাজিত হয়ে লিগ তালিকায় আপাতত চার নম্বরে রয়েছে স্মৃতি মান্ধানার আরসিবি। 


প্রথম ইনিংস


ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন আরসিবি অধিনায়ক মান্ধানা। ওপেন করতে নেমে তিনি ও সোফি ডিভাইন বেশ ভালভাবেই ইনিংসটা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে গত ম্যাচে বল হাতে চার উইকেট নেওয়া বাংলার সাইকা ইশাক ৩৯ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ ভাঙতেই ম্যাচের রঙ বদলে যায়।


ম্যাচের পঞ্চম ওভার তিনি সোফিকে ১১ ও দিশা কাসাতকে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরান। পরের ওভারেই ব্যক্তিগত ২৩ রানে ফেরেন স্মৃতি মান্ধানাও। হেইলি ম্য়াথিউজও এই ওভারে দুই উইকেট নেন। স্মৃতির পাশাপাশি একই ওভারে হায়দার নাইটকেও শূন্য রানে ফেরান তিনি।  ৪৩ রানেই চার উইকেট হারিয়ে ফেলে বিরাট চাপে পড়ে যায় আরসিবি। পঞ্চম উইকেট হিসাবে মাত্র ১৩ রান করে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন এলিস পেরি। ৭১ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেললেও অবশ্য আরসিবির লোয়ার অর্ডার ব্যাট হাতে পারফর্ম করে দলকে ১৫০ রানের গণ্ডি পার করতে সাহায্য করে।


গত ম্যাচে ব্যর্থ রিচা ঘোষ এই ম্যাচে ২৮ রানের ইনিংস খেলেন। কণিকা আহুজা করেন ২২ রান, শ্রেয়াঙ্কা পাতিল ২৩ ও মেগান শ্যুট ২০ রান করেন। এক সময় মনে হচ্ছিল আরসিবি হয়তো ১৭০ রানের গণ্ডি পার করতে পারবে। তবে মাত্র ছয় রানের মধ্যেই শেষ তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে আরসিবি। নির্ধারিত ২০ ওভারের আট বল আগেই অল আউট হয়ে যায় স্মৃতি মান্ধানার নেতৃত্বাধীন দল। ম্যাথিউজের তিন উইকেট বাদেও সাইকা ও অ্যামেলিয়া কের উভয়েই দুইটি করে উইকেট নেন।


আরও পড়ুন: দিল্লি ক্যাপিটালস মহিলা দলের ম্যাচ দেখতে মাঠে হাজির 'মহারাজ'