কলকাতা: কেউ বলেন চাষের ক্ষতি হয়। ফলন কমে যায়। কারও মতে, মৌমাছি-সহ অন্যান্য পতঙ্গ পথভ্রষ্ট হয়। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পরাগমিলনের প্রক্রিয়া। যার প্রভাব পড়ে ফসলে। কারও কারও আশঙ্কা, শুধু গাছপালা বা পশু-পাখি নয়, মোবাইল টাওয়ারের জন্য মানুষের শরীরেও নানা ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।                                         


গোটা দেশের পাশাপাশি রাজ্যেও শুরু হবে ৫জি পরিষেবা (5G Service)। যেখানে প্রত্যেক দুশো বা তিনশো মিটার ছাড়া বসাতে হবে মোবাইল টাওয়ার। তাতে কি সঙ্কট আরও বাড়বে?                                           


সোমবার রাজারহাটে বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে কেন্দ্রীয় টেলিকমিউনিকেশন মন্ত্রক (Department Of Telecommunications) ও রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি ও বৈদ্যুতিন দফতর (Department Of Information Technology and Electronis) আয়োজিত ওয়ার্কশপে আলোচনার ফাঁকে ঘুরেফিরে এল সেই প্রশ্নও।                                                                                                  


যদিও আশ্বস্ত করছেন কেন্দ্রীয় টেলিকম ইনফ্রাস্ট্রাকচারের ডিরেক্টর ধনঞ্জয় গাওয়াণ্ডে। সোমবার ওয়ার্কশপে যোগ দিতে যিনি কলকাতায় এসেছিলেন। অনুষ্ঠানের ফাঁকে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, মোবাইল টাওয়ারের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে এমনিতেই বহুমত রয়েছে। যা নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। ৫জি পরিষেবা চালু হলে টাওয়ারের সংখ্যা বিপুল পরিমাণে বেড়ে যাবে। রাজ্যে এখন যেখানে দেড় লক্ষ টাওয়ার রয়েছে, ৫জি পরিষেবা চালু হলে সেই সংখ্যাটা দাঁড়াবে ১৫ লক্ষ। তাতে কি পরিবেশের ক্ষতি বাড়বে?                


ধনঞ্জয় বলছেন, 'কোনও সমস্যা হবে না। সবরকম সতর্কতা অবলম্বন করেই পরিষেবা চালু করা হবে। সবচেয়ে বড় কথা, বিশ্বের অনেক দেশেই এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। কোথাও কোনও সমস্যা হচ্ছে না। বিজ্ঞানী বা চিকিৎসকেরাও আশ্বস্ত।'


আরও পড়ুন: নেই পর্যাপ্ত টাওয়ার, রাজ্যে ৫জি পরিষেবা চালু করার পথে অগ্নিপরীক্ষা