কেন্দ্রের জারি করা নয়া ডিজিটাল আইন নিয়ে ভারতীয়দের মৌলিক অধিকারের প্রশ্ন তুলে আপত্তি জানিয়েছিল Whatsapp-এর মূল অর্গানাইজেশন ফেসবুক। কিন্তু সেই মামলার জবাবে কেন্দ্র বলল, ফেসবুক যেহেতু বিদেশি সংস্থা তাই মৌলিক অধিকার সংক্রান্ত সাংবিধানিক অধিকার তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। হোয়াটসঅ্যাপকে আদ্যন্ত বিদেশি ও ব্যবসায়িক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দাবি করেছে কেন্দ্র। দিল্লি হাইকোর্টে জমা দেওয়া এক হলফনামায় কেন্দ্রের তরফে এই যুক্তি দেওয়া হয়েছে। 

 দিল্লি হাইকোর্টে দাখিল করা একটি হলফনামায় ভারত সরকার বলেছে, হোয়াটসঅ্যাপ একটি বিদেশী সংস্থা হওয়ায় সংবিধানের ১৯ এবং ২১ অনুচ্ছেদের অধীনে মৌলিক অধিকারগুলি ব্যবহার করতে পারে না !


আরও পড়ুন :


হোয়াটসঅ্যাপে নতুন ফিচার, মাঝপথে কীভাবে ঢুকবেন গ্রুপ কলে ?


 ফেসবুকের মালিকানাধীন মেসেজিং জায়ান্ট মে মাসে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করে।  কেন্দ্রের জারি করা নয়া ডিজিটাল বিধির বিরুদ্ধে মে মাসে আদালতে যায় তারা।  ভারতীয়দের মৌলিক অধিকারের ভিত্তিতে নয়া ডিজিটাল বিধিতে আপত্তি জানিয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপ। 


ভারত সরকারের নয়া তথ্যপ্রযুক্তি বিধি অনুসারে গ্রাহকদের গোপনীয়তার অধিকারের পক্ষে বিপজ্জনক হতে পারে বলে দাবি করে Whatsapp। সেই যুক্তির পর ভর করেই আদালতে যায় তারা। কিন্তু সেই সময়ই আইনমন্ত্রী রবিসঙ্করপ্রসাদ জানিয়ে দেন, মৌলিক অধিকার যেমন আছে, তেমনই  কিছু ক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রমও আছে। আইনমন্ত্রী আরও বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কারণেই হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের সূত্র জানাতে বাধ্য। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বড় অপরাধের তদন্তের স্বার্থে এই তথ্য জানানো আবশ্যক। 


আরও পড়ুন :


ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপ ডাউন থাকাকালীন 'লাফিয়ে বেড়েছে' পর্নহাবে ভিজিটরের সংখ্যা

 আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছিলেন, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে সন্ত্রাসবাদী, দুষ্কৃতীরা ব্যবহার করছে যোগাযোগের জন্য। কেন্দ্র জানায়, নতুন এই তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ম শুধুমাত্র WhatsApp-এর জন্য নয়। যে সব প্ল্যাটফর্মে  ৫০ লক্ষের বেশি ব্যবহারকারী আছে, সব কোম্পানির জন্য এই নিয়ম প্রযোজ্য।