প্রসেনজিৎ সাহা, ত্রিপুরা: উল্টোরথের দিনেই মর্মান্তিক মৃত্যু ত্রিপুরায়। হাসপাতাল সূত্রে খবর উত্তর ত্রিপুরা জেলার কুমারঘাটে উল্টোরথে তড়িতাহিত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। এই ৬ জনের মধ্যে ২ জন শিশুও রয়েছে। জানা গিয়েছে, ৮ জনকে জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। এবং তাঁদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এই ঘটনায় ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সমবেদনাও জানিয়েছেন। বিদ্যুৎমন্ত্রী, ডিজিএম এর কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন।
কী করে ঘটল এত বড় দুর্ঘটনা ?
জানা গিয়েছে, কুমারঘাট ব্লক চৌমুহনী পৌঁছতেই আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়কে ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ পরিবাহী তারের সঙ্গে স্পৃষ্ট হয় লোহার স্ট্রাকচারে তৈরি কুমারঘাট ইসকনের রথ। রথের সংস্পর্শে থাকা বেশ কয়েকজন সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। কুমারঘাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক কমল দেববর্মা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ছয় জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন চিকিৎসকরা। বেশ কয়েকজন আশঙ্কাজনক, তাঁদের রেফার করা হয়েছে জেলা হাসপাতালে।
শোকপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী
ত্রিপুরার মুখ্য়মন্ত্রী এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় যারা নিকট এবং প্রিয়জনদের হারিয়েছেন, সেই সকল পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলির পাশে রাজ্য সরকার থাকবে বলে বার্তা দিয়েছেন তিনি। শেষপর্যন্ত পাওয়া খবরে ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী।
কী দাবি বিরোধী দলনেতার ?
অপরদিকে এই ঘটনার জন্য কারা দায়ী ? দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা অনিমেষ দেববর্মা। তিনি আরও দাবি জানিয়ে বলেছেন, সরকারের তরফে যেনও আহতদের বিনাখরচে চিকিৎসা হয়। নিহতদের পরিবারকে ২০ লক্ষ টাকা এবং আহতদের যেনও ১০ লক্ষ করে টাকা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?
শেষ অবধি পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, মূলত ওই রথটি লোহা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। আর এটাই কি কাল হল ? প্রসঙ্গত, যেকোনও লোহার তৈরি সামগ্রী সাধারণত বিদ্যুতের উত্তম পরিবাহক। যা খুব সহজেই বিদ্যুৎ পরিবহণ করে। তার উপর বৃষ্টি হলে, বৃষ্টিতে উপস্থিত থাকা অ্যাসিডিক উপাদান বিদ্যুৎ পরিবহণের ক্ষমতা, পরিবাহককে বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। আর তা থেকে একটা তড়িতাহিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। তবে এক্ষেত্রে প্রকৃত কারণ এখনও কিছু রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়নি। তবে প্রকৃত কী কারণে এত বড় মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে, তা বিদ্যুৎমন্ত্রীর তলবে পরবর্তীতে উঠে আসবে।