তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৪০ ডিগ্রির বেশি। প্রচন্ড গরমে পরিত্রাণ পেতে ভরসা এসি। এবার সেখানেও বাদ সাধছে দাম।

চলতি বছরে গরম বেশি থাকায় দুশ্চিন্তায় সাধারণ মানুষ। দেশবাসীর এই চিন্তায় লাভবান হচ্ছেন এয়ারকন্ডিশনার প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলি।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আরও দাম বেড়েছে এসির। এয়ারকন্ডিশনার যন্ত্রাংশের সরবরাহ বাধা পাওয়ায় এই দামবৃদ্ধি।

পরিসংখ্যান বলছে, এতকিছুর পরও প্রচন্ড গরমে দেশে রেকর্ড সংখ্যক এসি বিক্রি হচ্ছে।

এসি কোম্পানিগুলির দাবি, ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ ছাড়াও তামা, অ্যালুমিনিয়াম লাগে এসিতে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও চিনের কয়েকটি শহরে লকডাউনের কারণে সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে।

সেই কারণে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। ফলে গত বছরের তুলনায় এসি ১০ থেকে ১২ শতাংশ বেশি দামে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

অর্থাৎ এসি কিনতে এখন 4,000 থেকে 6,000 টাকা বেশি খরচ করতে হচ্ছে দেশবাসীকে। তা সত্ত্বেও বেড়েই চলেছে এসির বৃদ্ধি।

এ বছর প্রচণ্ড গরমের কারণে মার্চ মাসে প্রায় ১৫ লাখ এসি বিক্রি হয়েছে। যা এখন পর্যন্ত রেকর্ড।

এর আগে এক মাসে ৯ লাখ ৮০ হাজার এসি বিক্রির রেকর্ড ছিল। বিপুল চাহিদার কারণে এ বছর প্রায় ৯ মিলিয়ন এসি বিক্রি হবে বলে ধারণা।

ভারতে এসিকে এখনও বিলাসিতা হিসেবেই দেখা হয়। সেই কারণে মাত্র ৮ শতাংশ বাড়িতে এসি রয়েছে। যেখানে ইউরোপ, এশিয়ার ৫০ শতাংশ বাড়িতে এসি রয়েছে।