রশ্মিকা মন্দানা থেকে শুরু করে ক্যাটরিনা কইফ, 'ডিপফেক' ভিডিওর শিকার হচ্ছেন একাধিক অভিনেত্রী। কিন্তু ঠিক কী এই 'ডিপফেক' ভিডিও? ডিপফেক আসলে সিন্থেটিক মিডিয়া যেখানে কৃত্রিমভাবে মানুষের চেহারা, গলার স্বর ইত্যাদি নকল করা যায়। এই প্রযুক্তিটির ইতিবাচক দিক রয়েছে এবং সেই কারণেই এটি আবিষ্কার করা হয়েছিল। ছবি তৈরির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় এই প্রযুক্তি। তবে মজার ছলে রশ্মিকা ও ক্যাটরিনার যে ভিডিও তৈরি করা হয়েছে, তা বেআইনি, ফলে এতে চটেছেন অনেকেই। 'ডিপফেক' ভিডিওতে দুটি মানুষের মুখের মিল রয়েছে এমন ছবি খুঁজে বের করা হয়। জোর দেওয়া হল ক্লোজ আপ শটে। এরপরে, ডিকোডারের সেটিংসের মাধ্যমে দুটি মুখের এমনভাবে অদল বদল করে দেওয়া হয়, যাতে যে কোনও নড়াচড়াতেও তা না বদলায়। কেন্দ্রের ইলেকট্রনিক্স ও আইটি মন্ত্রক ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটউবের মতো প্ল্যাটফর্মগুলিকে পরামর্শ দিয়েছে যে কোনও বিভ্রান্তিকর ভিডিও সরিয়ে ফেলার। 'ডিপফেক' ভিডিও সাধারণত খুব কম দৈর্ঘ্যের হয় কারণ এগুলি ফ্রেম বাই ফ্রেম তৈরি করতে হয় কাজেই খুব বড় ভিডিও বানানো অসম্ভব জেনারেটিভ অ্যাডভারসারিয়াল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে এই ধরণের ভিডিও তৈরি করা হয়। এই ধরণের ভিডিও প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে অনেকে ব্যবহার করতে পারেন সেই আশঙ্কাও থাকে।