শীতের মরশুমে প্রায় সকলেই কমবেশি ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশি, হাঁচি, গলা ব্যথা এইসব সমস্যায় ভোগেন। এই পরিস্থিতিতে মুখে রুচি থাকে না। কিছু খেতেও ইচ্ছে করে না।
এই পরস্থিতিতে যদি আপনি কিছু গরম পানীয় কিংবা গরম খাবার (তরলজাতীয়) খেতে পারেন তাহলে কিছুটা আরাম পাবেন। সেই তালিকায় কী কী রাখতে পারেন? দেখে নেওয়া যাক।
শীতের মরশুমে আপনি রোজই দিনে অন্তত একবার হার্বাল টি অর্থাৎ ভেষজ চা খেতে পারেন। আজকাল বিভিন্ন সংস্থার হার্বাল টি বাজারে কিনতে পাওয়া যায়।
এছাড়াও বাড়িতে আপনি আদা, মধু, গোলমরিচ, এলাচ এইসব উপকরণ দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন হার্বাল টি। সর্দি-কাশির সমস্যা থাকলে চায়ে তুলসীপাতা দিয়েও খেতে পারেন।
বিভিন্ন ধরনের স্যুপ খেলে মুখে রুচি ফিরবে এবং বাড়বে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা। ইমিউনিটি বুস্টার হিসেবে স্যুপের জুড়ি মেলা ভার।
সবজি হোক বা আমিষ উপকরণ দিয়ে তৈরি স্যুপ, দুইয়ের মধ্যেই থাকে ভিটামিন এবং মিনারেলস। এইসব স্যুপ খেলে আপনার শরীর হাইড্রেটেড থাকবে। সুদৃঢ় হবে ইমিউনিটি সিস্টেম।
হলুদের রয়েছে অনেক গুণ। শীতকালে দুধের মধ্যে হলুদ মিশিয়ে খেলে একধিক উপকার পাবেন আপনি। আপনার শরীর হাইড্রেটেড থাকবে, এনার্জির মাত্রা সঠিক পর্যায়ে বজায় থাকবে।
Curcumin- হলুদের মধ্যে রয়েছে এই উপকরণ যার মধ্যে একই সঙ্গে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি। হজমশক্তি ভাল করার পাশাপাশি গলা ব্যথা বা ইনফেকশন, গলা ফুলে যাওয়ার সমস্যায় আরাম দেয় হলুদ মেশানো দুধ।
ছাতুর শরবর খেলে পেট অনেকক্ষণ ভরে থাকে। তবে ছাতু খেলে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা অর্থাৎ ইমিউনিটি সিস্টেম যে সুদৃঢ় হয় তা অনেকেরই অজানা।
ছাতুর শরবতে রয়েছে ভরপুর প্রোটিন। আপনার শরীরে এনার্জির মাত্রা বৃদ্ধি করতে এই পানীয় সাহায্য করবে। এছাড়া পেটের সমস্যা থাকলেও এই শরবত খেতে পারেন। উপকার পাবেন।