চা-কফি এখন প্রতিদিনের রুটিনের মধ্যেই পড়ে। অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা চায়ের তুলনায় কফিতে স্বচ্ছন্দ চায়ের মতোই এনার্জি দিতে সাহায্য় করে কফিও। অনেকেই সকালটা শুরু করেন এক কাপ কফি দিয়ে। কিন্তু প্রতিদিনের কফি খাওয়ার অভ্যাস যদি ছাড়া যায়? কী হবে তাতে? ক্ষতি হবে নাকি আদতে লাভ হবে? স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, কফি মেটাবলিজম বৃদ্ধি করতে, মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। খিদেও কমায়। বলা হয়ে থাকে, রোজ ২-৩ কাপ কফি একাধিক উপকার করে। টাইপ টু ডায়াবেটিস রুখতে সাহায্য় করে। হৃদযন্ত্র ভাল রাখা এবং আরও কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাহায্য করে কফি। যদিও অনেক চিকিৎসক অন্তঃসত্ত্বাদের কফি না খাওয়ার পরামর্শ দেন। এছাড়াও, হৃদরোগী এবং ঘুমের সমস্যা রয়েছে এমন ব্যক্তিদেরও কফি এড়নোর পরামর্শ দেন। যদিও কারও প্রতিদিন কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে হঠাৎ করে ছাড়তে গেলে উইথড্রয়াল সিম্পটম থাকবে। তবে ধীরে ধীরে তা কমে যাবে। কফি খাওয়া ছাড়লে ঘুম ভাল হবে। অম্বল-সংক্রান্ত সমস্যাও কমবে। অবশ্য সমস্যাও দেখা যেতে পারে। অস্বস্তি লাগতে পারে, মনোযোগের ক্ষেত্রে সমস্যা হলেও হতে পারে। যাঁদের প্রতিদিন বারবার কফি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে, তাঁরা পারলে অতিরিক্ত ক্রিম বা চিনি নিয়ে কফি খাওয়া এড়িয়ে চলুন। নয়তো অতিরিক্ত ফ্যাট এবং ক্যালোরি যাবে শরীরে। ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় ডায়েটের জন্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলুন।