করোনার আবহে গৃহবন্দি বিশ্ববাসী যখন রোগের সঙ্গে প্রাণপনে লড়াই চালিয়েছে, সেই সঙ্গে বদল ঘটেছে তাঁদের জীবনযাত্রাতেও।

সবকিছুই এসে সীমাবদ্ধ হয়েছিল কম্পিউটার বা মোবাইল স্ক্রিনে।

ফলে টেকনোলজির ওপর তাঁদের নির্ভরতা বেড়েছে। কিন্তু 'কমিউনিকেশন স্কিল' বলতে যা বোঝায়, সেই সমস্তেই ঘাটতি হয়েছে।

বিভিন্ন সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন যে অতিমারীর জন্য ভার্চুয়াল শিক্ষা তাঁদের সন্তানদের অন্তর্মুখী (introverts) করে তুলেছে।

এসবের যদিও একেবারে অব্যর্থ কোনও উপায় থাকে না, কিন্তু নিম্নলিখিত কিছু উপায় আপনার সন্তানদের নতুন বন্ধু তৈরি করতে উৎসাহ জোগাবে।

বাচ্চাদের প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে উৎসাহ দিন। সংযোগ স্থাপনের সর্বশ্রেষ্ঠ উপায় হল এমন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা যা বিশেষভাবে সেই ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত যার সঙ্গে শিশু যোগাযোগ স্থাপন করছে।

সামাজিক সাচ্ছন্দ্য বাড়ানোর ক্ষেত্রে এটা সর্বাগ্রে প্রয়োজন। শিশুর প্রিয় কাজে নিজেও অংশ নিন।

শিশুরা যা দেখে প্রায়ই তাইই শেখে। ফলে তাঁরা যখন সবকিছু নজর করছে, শিখছে, সেই সময়ে আপনি ওদের সঙ্গে কীভাবে মিশছেন সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আপনি সন্তানের সঙ্গে বা আশেপাশের মানুষের সঙ্গে কীভাবে ব্যবহার করছেন বা মিশছেন তার বড় প্রভাব পড়ে শিশুদের ওপর।

আপনার সন্তান যদি অন্তর্মুখী হয়, তাহলে বাইরের জগতের সঙ্গে সহজে মিশতে তার সময় লাগবে, সেটা মাথায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।