অনেকেই কথা বলতে বলতে আঙুলে তুড়ি মারেন। তুড়ি মেরেই কিছু বোঝাতে চান। সাধারণ ভাবে এই তুড়ি মারা কিছুটা ঔদ্ধত্যের প্রকাশ হিসেবে ধরা হয়। কারও মুখের সামনে তুড়ি মারা ক্ষেত্রবিশেষে অপমানজনক। শুধু তাই নয়, ছোটদের এমন কাজ করতে গুরুজনেরা নিষেধ করেন। তবে তুড়ি মারার পিছনে বিজ্ঞানের একটি মজাদার কাহিনিও রয়েছে। জার্নাল অব রয়াল সোসাইটি ইন্টারফেসে দেখা যায়, একটা তুড়ির মধ্য়েই রয়েছে অকল্পনীয় শক্তি। গবেষকদের কথায়, ঘর্ষণের কারণে এই শক্তি তৈরি হয়। বুড়ো আঙুল ও মধ্যমার ঘষাতেই তৈরি হয় এই বিপুল শক্তি। একজন খেলোয়াড়ের বল ছোড়ার জন্য দরকারি শক্তির থেকেও অনেকগুণ বেশি। তাও আবার মাত্র সাত মিলিসেকেন্ডে। একবার পলক ফেলতেই আমাদের এর থেকে বেশি সময় লেগে যায়। মানবশরীরে সবচেয়ে শক্তি তৈরি করে একটি তুড়ি। এটাও বিজ্ঞানীদেরই মত।