নবরাত্রির সময় মিষ্টি আলু দিয়ে তৈরি পদ খেতে পারেন আপনি। এই নিরামিষ খাবারে রয়েছে প্রচুর গুণ। সার্বিকভাবে খেয়াল রাখে স্বাস্থ্যের।
ভিটামিন, ফাইবার এবং অ্যান্টক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ মিষ্টি আলু আমাদের শরীর পুষ্টি এবং এনার্জির জোগান দেয়। মিষ্টি আলু বেক করে তৈরি করতে পারেন মুখরোচক স্ন্যাকস। এক্ষেত্রে তেল-মশলা লাগবে না। অথচ মুচমুচে স্ন্যাকস তৈরি হয়ে যাবে অল্প সময়ে।
ফল খাওয়া সবসময়েই ভাল। আর নবরাত্রির সময় যেহেতু অনেকেই নিরামিষ খাবার খান, তাঁরা ফল দিয়ে তৈরি স্যালাড কিংবা চাট খেতে পারেন। এই খাবার অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখবে এবং শরীরে পুষ্টির জোগান দেবে।
বিভিন্ন ধরনের ফলের সঙ্গে বিটনুন আর চাটমশলা মিশিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন ফলের চাট। আর নানা ধরনের ফলের সঙ্গে ইয়োগার্ট বা টকদই মিশিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন ফলের স্যালাড।
পুজো-পার্বণের সময় নিরামিষ খাবার হিসেবে অনেকের পাতেই থাকে সাবু। আপনি তৈরি করে নিতে পারেন সাবুদানার খিচুড়ি কিংবা সাবুদানার বড়া। এছাড়াও সাবু ভিজিয়ে রেখে ফল-বাতাসা-মিষ্টি দিয়ে সাবুমাখা খাওয়ার চলও রয়েছে।
সাবুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। তাই এই উপকরণ আপনার পেট অনেকক্ষন ভরিয়ে রাখবে। সহজে খিদে পাবে না। তাছাড়া এই খাবার পুষ্টিকর।
মাখানা অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার। যাঁরা ওজন কমানোর জন্য ডায়েট করছেন নিয়মিত ভাবে তাঁরাও এই খাবার রোজের স্ন্যাকস মেনুতে রাখতে পারেন।
ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং পটাশিয়াম সমৃদ্ধ মাখানা অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখতে সাহায্য করে। খিদে ভাব কমায়। এর সঙ্গে বাদাম কিংবা ড্রাই ফ্রুটস মিশিয়ে খেতে পারেন।
পুজো-পার্বণের দিন নিরামিষ খাবারের তালিকায় অনেকেই খেয়ে থাকেন সমক চাল দিয়ে তৈরি খাবার। এই সমক চাল দিয়ে সুস্বাদু খিচুড়ি রান্না করা সম্ভব যা খুবই স্বাস্থ্যকর।
সমক চালের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপকরণ, প্রোটিন এবং ফাইবার। স্বাস্থ্যকর এই খাবার আমাদের শরীরের এনার্জির মাত্রা বৃদ্ধি করে।