আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের মতে বেশিরভাগ ভেষজ হয় গরম বা ঠাণ্ডা নয় তো নিরপেক্ষ স্বভাবের। তাই প্রথমেই এদের মধ্য়ে চিনে নিতে হবে কোনও কোনও ভেষজ গরমেও ঠাণ্ডা রাখবে আপনাকে। মূলত শরীর ঠাণ্ডা রাখার ভেষজগুলো দুধরনের হয়। একধরনের ভেষজের ব্যবহার তাপমাত্রা কমিয়ে শরীরকে ভেতর থেকে স্নিগ্ধ রাখে এবং পেশীগুলিকে করে ঠাণ্ডা। আর অন্যগুলি শরীরকে আর্দ্র করে আরাম দেয়।



চিন থেকে বিভিন্ন দেশ ঘুরে ভারতে আসা চন্দ্রমল্লিকা গাছও গরমে স্বস্তি দেয় শরীরকে। চন্দ্রমল্লিকা থেকে বানানো চা গরমের মাসগুলিতে এশিয়ার একটি জনপ্রিয় প্রধান খাবার। চন্দ্রমল্লিকার হলুদ বৈচিত্র্যের মধ্যে একটা শক্তিশালী ঠাণ্ডা ভাব রয়েছে। এটা ঠাণ্ডা-গরমের কারণে হওয়া গলাব্যথা, জ্বর এবং মাথাব্যথার উপসর্গগুলিকে প্রশমিত করতে পারে।



থাইপাতা হিসেবে পরিচিত লেমনগ্রাস বা লেবু ঘাস গরমের হাত থেকে বাঁচতে সাহায্য করে। এর মধ্যে থাকা কোয়ারসেটিন নামে একটি পদার্থ শরীরের প্রদাহ কমায়। ফলে গরমে যখন শরীর জ্বালাপোড়া করছে তখন এই ভেষজ আপনাকে দিতে পারে স্বস্তি।



গরমে ত্বককে বাঁচাতে কাজে আসে ল্যাভেন্ডারও। পাশাপাশি এর ব্যবহার অবসাদ কাটানোর পাশাপাশি মনে নতুন করে উদ্দীপনাও জোগায়। যাঁদের রাতে ঘুম আসতে চায় না মানসিক চাপের কারণে তাঁরা এক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার থেকে তৈরি তেল বালিশে ফেলে রাখলে অব্যর্থ কাজ পাবেন। সেই সঙ্গে ঘরে এর ব্যবহার কমাবে মশা-মাছির উৎপাতও। শরীরে অন্য তেলের সঙ্গে একফোঁটা ল্যাভেন্ডারের তেল মেখে নিলে কামড়াবে না কোনও পোকামাকড়ও।



তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষা করতে আরেকটি দারুণ জিনিস হল তরমুজ। এটি খেলে শরীরে যেমন জলের প্রয়োজনীয়তা মেটে তেমনি দেহও হয় ঠাণ্ডা। তীব্র গরমে শীতল পরশ দেওয়ার পাশাপাশি শরীরে আরও অনেক উপকারে লাগে তরমুজ। তাই গরমে সুযোগ পেলেই খেতে পারেন ভেষজগুণ সম্পন্ন এই ফল।



লেবুর ব্যবহারও প্রচুর করা হয় গরমের প্রভাব থেকে বাঁচতে। নুন ও চিনির সঙ্গে মিশিয়ে এর সরবত করার পাশাপাশি অনেকে গরমকালের দুপুরে ভাতের সঙ্গেও খেয়ে থাকেন লেবু। যার প্রভাবে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।



তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষা করতে আরেকটি দারুণ জিনিস হল তরমুজ। এটি খেলে শরীরে যেমন জলের প্রয়োজনীয়তা মেটে তেমনি দেহও হয় ঠাণ্ডা। তীব্র গরমে শীতল পরশ দেওয়ার পাশাপাশি শরীরে আরও অনেক উপকারে লাগে তরমুজ। তাই গরমে সুযোগ পেলেই খেতে পারেন ভেষজগুণ সম্পন্ন এই ফল।



হজমের সমস্যা ও মাথাব্যথার মতো বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা নিরাময়ের অন্যতম প্রধান উপাদান হল মিন্ট বা পেপারমিন্ট অথবা পুদিনা। গরমকালের সকালে বা সন্ধ্যায় এই ভেষজের চা আপনাকে দেবে একরাশ স্বস্তি। এতে থাকা ভিটামিন এ,বি ও সি গরমেও শরীর রাখবে ঠাণ্ডা। এটা আপনি গরম জলে ফুটিয়ে খেতে পারেন বা বরফ মেশানো জলে তৈরি চা খেতে পারেন।