বর্ষায় সংক্রমণ থেকে দূরে রাখবে এই ৬ অভ্যাস, আপনিও পাবেন উপকার

Published by: ABP Ananda

১. অভ্যঙ্গ

আপনার রুটিনে 'অভ্যঙ্গ' যোগ করতে পারেন যা আপনাকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে। এটি আদপে একটি হালকা ম্যাসাজ। ঘুমানোর আগে এই হালকা ম্যাসাজ স্নায়ু তন্ত্রকে শান্ত করতে পারে, রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে পারে এবং চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

২. নিম অথবা তুলসী স্নান

নিম বা তুলসী মিশ্রিত উষ্ণ জলে স্নান বর্ষাকালের রাতের রুটিনে একটি শুদ্ধিকারক সংযোজন। এই ভেষজগুলির অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ত্বককে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে।

৩.মুখে বাষ্প নেওয়া

বর্ষায় আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ার জন্য ত্বকের ছিদ্র বন্ধ হতে পারে এবং ব্রণ দেখা দিতে পারে। একটি মৃদু স্টিম সেশন ময়লা এবং অতিরিক্ত তেল আলগা করতে পারে, ডিটক্সিফিকেশন করে। এই প্রশান্তিদায়ক কাজ ত্বককে সতেজ করে তোলে এবং ঘুমের আগে আপনাকে শান্ত হতে সাহায্য করে।

৪. অ্যারোমাথেরাপি

অ্যারোমাথেরাপি একটি শান্তিদায়ক প্রক্রিয়া যা আপনার মনকে শান্ত করতে সাহায্য করতে পারে। ল্যাভেন্ডার, ইউক্যালিপটাস বা ক্যামোমাইলের মতো প্রয়োজনীয় তেল ব্যবহার করলে মানসিক চাপ কমে এবং ঘুমের গুণগত মান উন্নত হয়।

৫. ঔষধি পানীয়

একটি উষ্ণ ভেষজ পানীয় যা ক্যামোমাইল, তুলসী বা আদার মতো উপাদান দিয়ে তৈরি, হজমে সাহায্য করে, স্নায়ু শান্ত করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই পানীয় প্রাকৃতিকভাবে শরীরকে শিথিল করে এবং ঋতু পরিবর্তনের কারণে হওয়া ঠান্ডা ও সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

৬. উষ্ণ জলে পা রাখা

আপনার বর্ষাকালের রাতের রুটিনে গরম জলে সামান্য নুন মিশিয়ে পা ভেজানো একটি আরামদায়ক প্রক্রিয়া। এটি ক্লান্ত পা'কে আরাম দিতে, রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে এবং শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে।

৭. শুকনো তেজ পাতা পোড়ানো

শুকনো তেজপাতা পোড়ালে শান্ত ও আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি হতে পারে। এর থেকে নির্গত মৃদু সুবাস মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে পারে, এর সঙ্গে বিশ্রাম ও ভালো ঘুমের উন্নতি ঘটায়।

৮. নুন জল

উষ্ণ গরম জলে এক চিমটি সৈন্ধব লবণ মিশিয়ে খাওয়া আর্দ্রতা-জনিত কারণে বদহজমের একটি চিরাচরিত প্রতিকার। এটি শরীরকে বিষমুক্ত করতে সাহায্য করে এবং সামগ্রিক সুস্থতা বাড়াতে পারে।