কাজের জায়গায় নিজেকে সক্রিয় রাখার ৮টি সৃজনশীল উপায়
পাঁচ থেকে দশ মিনিটের ক্ষুদ্র বিরতি মনোযোগ বাড়ায় এবং ক্লান্তি কমায়। গবেষণা দেখাচ্ছে যে ক্ষুদ্র বিরতি উৎপাদনশীলতা না কমিয়ে শক্তি ও কর্মক্ষমতা বাড়ায়।
ঘাড় ঘোরানো এবং কাঁধের ঘূর্ণন সহজ স্ট্রেচ যা রক্ত প্রবাহ উন্নত করে এবং শক্ত হওয়া রোধ করে। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন-এর মতে নিয়মিত ব্যায়াম হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
স্বাভাবিক আলো সার্কেডিয়ান ছন্দ নিয়ন্ত্রণ করে, যা সচেতনতা এবং ঘুমকে উন্নত করে। একটি গবেষণা অনুসারে, যে কর্মচারীরা জানালার পাশে বসেন তারা রাতে ৪৬ মিনিট বেশি ঘুমান।
একটি ১০-২০ মিনিটের ঘুম মনোযোগ এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। নাসার গবেষণায় দেখা গেছে ২৬ মিনিটের ঘুম পাইলটদের কর্মক্ষমতা ৩৪ শতাংশ এবং মনোযোগ ৫৪ শতাংশ বৃদ্ধি করে।
ছবি আঁকা, লেখালিখির মত ছোট ছোট সৃজনশীল কাজে নিজেকে যুক্ত রাখলে আপনার কাজের সময় সক্রিয়তা বজায় থাকবে।
মাত্র ২ মিনিটের জন্য গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস মানসিক চাপ সৃষ্টিকারী রাসায়নিকের মাত্রা কমায় এবং মানসিক একাগ্রতা বাড়ায়। হার্ভার্ড হেলথ আমাদের জানায় যে মননশীলতা বিষয়ক কার্যকলাপ উদ্বেগ কমায় ও মনোযোগ বাড়াতে সহায়তা করে।
কর্মক্ষেত্রে গাছপালা থাকলে মেজাজ ভালো থাকে এবং মানসিক চাপ কমে। এক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা গেছে, কর্মক্ষেত্রের গাছপালা উৎপাদনশীলতা ১৫ শতাংশ বাড়ায়।
প্রতিদিনের সাক্ষাৎ, তা যত সামান্যই হোক না কেন, মানুষকে আপনত্বের অনুভূতি দেয়। গ্যালুপের গবেষণা অনুযায়ী, কর্মক্ষেত্রে যাদের সামাজিক সম্পর্ক ভালো, তাদের ভালো থাকার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ বেশি।