একসময় বাড়িতে অংশুমানকে পড়তে হত কেরোসিনের আলোয়, তিনিই আজ দেশের সকল উৎসাহী ছাত্রদের কাছে আলোর দিশারী। Image Source- Instagram বিহারে বড় হয়ে উঠেছেন অংশুমান রাজ। আর ঘরে অভাব নিয়ে তিনি কখনও ভাবেননি IAS হওয়ার কথা ! এত বিশাল স্বপ্ন দেখা কখনও তাঁর রক্তে ছিল না। সাফল্যের পরে তিনি এমনই বলেছিলেন এক সাক্ষাৎকারে। বিহারে রাস্তাঘাট ভাল ছিল না, বিদ্যুৎ ছিল না ভালমত। দিনের বেশিরভাগ সময় কেরোসিনের আলোতেই পড়তে হত তাঁকে। অংশুমানের মা সংসার চালানোর জন্য সারাদিন কাজ করতেন। স্কুলে পড়ানো, বিউটি পার্লারের কাজ সব সামলাতেন একা হাতে। ২০০২ সালে অংশুমানের বাবার চালের মিলে প্রচুর ক্ষতি হওয়ার পর থেকেই তাঁর মাকেই সংসারের ভার নিজের কাঁধে তুলে নিতে হয়। ২০১৩ সালে স্নাতক উত্তীর্ণ হওয়ার পরে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ শুরু করেন অংশুমান। দিল্লিতে গিয়ে কোচিং নেওয়ারও সামর্থ্য ছিল না, দিল্লিতে ভাইয়ের কাছে গিয়ে প্রস্তুতি নিতেন অবসরে। ২০১৬ সালে তিনি প্রথম UPSC প্রিলিমস উত্তীর্ণ হন, কিন্তু সেই বছর মেনস পরীক্ষা দিতে পারেননি। ২০১৯ সালে শেষবারের মত পরীক্ষা দিয়ে ১০৭ র্যাঙ্ক করেন তিনি। IAS হন অংশুমান রাজ।