অগ্নিপুরাণ অনুযায়ী, ভক্তের শনিবারের ব্রতের ফলে প্রসন্ন হন শনিদেব। সাড়েসাতি ও ঢাইয়া থেকে মুক্তি পেতে শনিবারের ব্রত অপরিসীম।



শ্রাবণ মাসের শনিবারে এই ব্রত শুরু করার মাহাত্ম্য রয়েছে বলে বিশ্বাস। তবে, কোনও শুক্লপক্ষের শনিবার থেকেও এই ব্রত শুরু করা যেতে পারে।



সাতটি শনিবার বড়ঠাকুরের পুজো করে মনস্কামনা পূরণে সাত-শনিবারের ব্রত রাখা যেতে পারে। এতে শনিদেবের রোষ থেকে মুক্তি মেলে। আসে সাফল্য।



শনিদেবকে প্রসন্ন করতে কী করতে হবে ? নিয়ম রয়েছে অনেক। তার মধ্যে কয়েকটির উল্লেখ করা হল।



শনিবারের আগে ব্রহ্মমুহূর্তে উঠে স্নান করে নিতে হবে। পরে নিকটবর্তী বড়ঠাকুরের মন্দিরে গিয়ে পূজার জায়গা পরিষ্কার করুন, দুয়ার মুছুন।



শনিদেবকে অর্পণ করুন স্নানের জল, কালো কাপড়, কালো তিল, কালো কড়াইয়ের ডাল, সরষের তেল ইত্যাদি। শনিদেবের সামনে সর্ষের তেলের প্রদীপ জ্বালান।



শনিদেবের প্রিয় ফুল সহযোগে পুজো করার পরে জাতক-জাতিকারা শনিদেবের স্তোত্র পাঠ করুন। একইসঙ্গে সুন্দরকাণ্ড ও হনুমান চালিশা পাঠ করা জরুরি।



এছাড়াও রাজা দশরথ রচিত ‘শনি স্তোত্র পাঠ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়াও ভক্তেরা শং শনিশ্চরায় নম:, সূর্যপুত্রায় নম ইত্যাদি মন্ত্রের জপ করতে পারেন।



বিশ্বাস, অশ্বত্থ গাছে শনিদেবের নিবাস। তাই প্রতি শনিবার অশ্বত্থ গাছের নিচে সর্ষের তেলের প্রদীপ জ্বালানো ও ছায়াদান অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এতে নেতিবাচক শক্তির নাশ হয়।



এবিপি লাইভ ধর্ম সম্পর্কিত কোনো সম্পাদকীয় / সম্পাদক-নিয়ন্ত্রিত তথ্য, পরামর্শ প্রদান করে না।
প্রদত্ত পরামর্শ ও তথ্য প্রয়োগের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন