সোহাগের মৃত্যুর খবর শুনে বাজ ভেঙে পড়েছে পরিবারের ওপর। প্রাথমিকভাবে সোহাগের পোশাক দেখেই চাঁদ বুঝতে পারে মরদেহটি সোহাগেরই হবে।



কিন্তু পরিবারের লোকজন সন্দেহ প্রকাশ করে। তাদের দাবি, 'এটা কি সত্যিই সোহাগের পোশাক?' তারা এই কঠিন সত্যটা কিছুতেই মেনে নিতে চাইছিলেন না।



যদিও, যত সময় এগোতে থাকল, ততই সমস্ত প্রমাণ ও যুক্তি অকাট্য হতে থাকল, এবং অনিচ্ছা সত্ত্বেও তারা এই কঠিন সত্যের সঙ্গে আপস করতে বাধ্য হয়।



সোহাগের মৃত্যুর শোকের সঙ্গে আরও খারাপ লাগার বিষয় হচ্ছে, পরিবারের লোকজন সোহাগের দেহও দেখতে পায়নি কারণ ময়নাতদন্ত চলছে।



অন্যদিকে, এই খবর পেয়ে উদযাপনে মেতে ওঠে দুর্যোধন ও তার ছেলে দুর্জয়। দুই ভিন্ন ধরনের আবেগের বহিঃপ্রকাশ দেখতে পারবেন দর্শক।



তবে এরপরেই এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে। সোহাগ, বা বলা চলে তার ভৌতিক রূপ, দুর্জয়ের সামনে এসে উপস্থিত হয়।



চারিদিকে তখন রহস্য এবং প্রতিশোধের এক অদ্ভুত আবহাওয়ার সৃষ্টি হয়। সে এসে মল্লিকার অবস্থান সম্পর্কে জানতে চায়, এবং চারিদিকে একটা ভূতুড়ে পরিবেশ সৃষ্টি করে।



শিহরণ জাগানো এই ধরনের একের পর এক ঘটনা যখন ঘটতে থাকে, তখন পরিবারের মধ্যে আশার এক ক্ষীণ আলো লক্ষ্য করা যায়।



তাদের হাতে একটি চিঠি এসে পৌঁছয়, যেখানে লেখা রয়েছে, 'আমি ভাল আছি', যা দেখে প্রাথমিকভাবে সোহাগের হাতের লেখা বলেই মনে করে সকলে।



পরিবারের সদস্যদের মধ্যে তখন আনন্দের সঞ্চারণ, স্বস্তি পেয়ে সকলেই তখন 'কাঁটা বাবা'র আশীর্বাদের ধন্য ধন্য করছে। তারপর?