আদা খাওয়ার একাধিক উপকারিতা রয়েছে। বিশেষ করে শীতের দিনে সর্দি-কাশি হলে আদার রস খেতে পারলে উপকার পাবেন।

শীতের মরশুমে আদা দিয়ে চা খেতে পারলে গলা ব্যথার সমস্যায় কিছুটা আরাম পাওয়া যায়।

মূলত শীতের দিনে শরীর গরম রাখতে অর্থাৎ দৈহিক তাপমাত্রা ঠিক রাখতে কাজে লাগে আদা।

শীতকালে অনেকেরই জল কম খাওয়া হয়। এর ফলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বদহজমের সমস্যাও দূর করে আদার রস।

শীতের মরশুমে জ্বর, সর্দি-কাশি, গলা খুশখুশ করা, এইসব সমস্যা প্রায় সকলের ক্ষেত্রেই কম-বেশি লক্ষ্য করা যায়। এইসব অসুখ দূর করার জন্য ঘরোয়া টোটকায় সবার আগে ব্যবহার হয় আদার।

আদার মধ্যে রয়েছে জিঞ্জেরল। এই উপকরণ খাবার সহজে হজম হতে সাহায্য করে। গা-গোলানো বা বমি ভাব দূর করে নিমেষে।

আদার মধ্যে থাকা বিভিন্ন উপকরণ শীতের দিনে শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে। একইভাবে ইমিউনিটি বুস্টার হিসেবেও কাজ করে। আদার মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং বায়ো-অ্যাকটিভ উপকরণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সেই জন্য শীতের জ্বর-সর্দিতে কাজে লাগে আদা।

আদার মধ্যে যেহেতু দৈহিক তাপমাত্রা সঠিকভাবে বজায় রাখার উপকরণ রয়েছে, তার ফলে শ্বাসযন্ত্রে কোনও কনজেশন থাকলে তা দূর করে এইসব উপকরণ। ফলে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দূর হয়।

শীতকালে ব্যথা-বেদনা বাড়ে। শরীরের বিভিন্ন জয়েন্ট বা গাঁট অংশে ব্যথা হতে পারে। এছাড়াও পেশীতে টান ধরে যন্ত্রণা হতে পারে। এইসব ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে আদার মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপকরণ।

আদা যে শুধু চায়ের মধ্যেই দিয়েই আপনি খেতে পারবেন তা নয়। কাঁচা আদা খাওয়া যায়। খেতে পারেন আদার রস। এমনকি রান্নাতেও একটু বেশি পরিমাণে আদা ব্যবহার করতে পারেন শীতের মরশুমে।