চুলের একাধিক সমস্যা কিন্তু দেখা দিতে পারে কম ঘুমের কারণে। তাই রাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমনোর চেষ্টা করুন। রাতের ঘুম অন্য সময়ে ঘুমিয়ে পূরণ করা সম্ভব নয়। দিনের পর দিন ঠিকভাবে রাতে না ঘুমোলে তার প্রভাব চুলের স্বাস্থ্যের উপর পড়তে বাধ্য। আপনি কখন কী খাবার খাচ্ছেন, সেই অভ্যাসের উপরেও চুলের স্বাস্থ্য অনেকটাই নির্ভর করে। দিনের শুরুতে খালি পেটে চা কিংবা কফি না খেয়ে বরং আগের রাতে ভিজিয়ে রাখা আমন্ড খেতে পারেন। এছাড়াও খাবেন আয়রন যুক্ত খাবার যেমন খেজুর, পালং শাক। আপনার ত্বকের পাশাপাশি চুল ভাল রাখতেও আয়রন সমৃদ্ধ খাবার সাহায্য করবে। ত্বকের মতোই চুল ভাল রাখতে চাইলে পরিমিত জল খেতে হবে। দিনে তিন থেকে চার লিটার জল খাওয়া অবশ্যই দরকার। চুলের পাশাপাশি পরিষ্কার রাখতে মাথার তালু অর্থাৎ স্ক্যাল্পও। তবে শ্যাম্পু করা কিংবা অয়েল ম্যাসাজ কোনও সময়েই জোরে জোরে ঘষা যাবে না। সবটাই করতে হবে আলতো হাতে। এই নিয়ম ভেজা চুল মুছে নেওয়ার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। শীতের মরশুমে চুলে ব্যবহার করতে পারেন হেয়ার সিরাম, হেয়ার লোশন। তবে ঠান্ডা লাগার ধাত থাকলে সারারাত মাথায় তেল, সিরাম, লোশন কিছুই না রাখা ভাল। যদি রাতে মাথায় কিছু লাগিয়ে শুতে চান তাহলে ঘুমনোর অন্তত ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট আগে সেই কাজ সেরে ফেলুন।