Auto News: ভারতের রাস্তায় গাড়ি চালাতে গেলে সরকারিভাবে একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা আবশ্যিক। গাড়ি চালানোর অনুমতি পাওয়ার অনুমতি পাওয়ার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি বলা চলে। একটিমাত্র লাইসেন্স থাকলেই বাইক বা গাড়ি (Driving License) আপনি যে কোনও হালকা যানবাহন চালাতে পারে। আর এই নথি না থাকলে রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বেরোলে জরিমানা করতে পারে ট্রাফিক পুলিশ। মোটা টাকা জরিমানা দিতে হতে পারে। এখন এই ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সময় বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখা দরকার।
ড্রাইভিং লাইসেন্স নেওয়ার জন্য কী দরকার
গাড়ি চালানোর ড্রাইভিং লাইসেন্স করানোর আগে দেখে নিতে হবে আবেদনকারীর বয়স ১৮ বছর পেরিয়েছে কিনা। ১৮ বছরের কম বয়সীদের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হয় না। যদিও কিছু কিছু দেশে বাইক চালানোর জন্য ন্যূনতম বয়স হতে হয় ১৬ বছর এবং ভারী যানবাহন চালানোর জন্য ২১ বছর হতে হয়। তবে ভারতে এই নিয়ম নেই।
এরপরে প্রথমে আপনাকে লার্নার লাইসেন্স নিতে হবে। আবেদনকারীরা যারা তাদের জন্য লার্নার লাইসেন্স চাইছেন, তারা নিকটবর্তী রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অফিস বা আরটিও-তে গিয়ে এর জন্য আবেদন করতে পারেন। এর জন্য আপনার কাছে আধার কার্ড, প্যান কার্ড থাকা একান্ত জরুরি।
এছাড়াও আপনাকে ড্রাইভিং লাইসেন্স করাতে গেলে আপনার বাসস্থানের প্রমাণপত্র দিতে হবে। এটা আধার কার্ড হতে পারে, রেশন কার্ড হতে পারে বা ইলেকট্রিসিটি বিলও হতে পারে। এছাড়া আরও একটি মেডিকেল সার্টিফিকেট এবং RTO আবেদন ফি জমা দিতে হবে। এরপরে আপনাকে RTO-র পক্ষ থেকে একটি লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে। ড্রাইভিং এবং ট্রাফিক আইন সংক্রান্ত প্রশ্ন থাকবে এই পরীক্ষায়।
ড্রাইভিং টেস্ট
লার্নিং লাইসেন্স পাওয়ার এক মাস পরেই RTO-র পক্ষ থেকে আপনাকে একটি ড্রাইভিং টেস্ট দিতে হবে। এতে একটা প্রাক্টিক্যাল পরীক্ষা নেওয়া হবে। সঙ্গে থাকবে একটি লিখিত পরীক্ষাও। এই দুই পরীক্ষায় পাশ করার পরেই আপনি স্থায়ীভাবে গাড়ির ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবেন।
কত আবেদনের ফি দিতে হয়
RTO থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স করাতে গেলে কিছু আবেদনের ফি দিতে হয়। এই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য ওয়েবসাইটেই দেওয়া হয়েছে। তবে এই ফি আপনাকে জমা করতে হবে অনলাইনে। একেক রাজ্যে একেক রকম ফি স্ট্রাকচার রয়েছে। এভাবেই আপনি স্থায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে পারেন।
আরও পড়ুন: Amazon Prime Day: সস্তায় পাবেন বাজাজ-হিরোর ৫ বাইক, দুরন্ত ছাড় মিলছে এখানে
Car loan Information:
Calculate Car Loan EMI