জাভেদ হাবিব হেয়ার স্টাইল সেমিনার
আয়োজক মানস মুখার্জি বলেন , " এই কর্মশালার প্রধান উদ্দেশ্য গ্রামবাংলার প্রান্তিক ও অতিসাধারণ বিউটিশিয়ানদের আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা।
কলকাতা : গত ১১ ই ডিসেম্বর কলকাতার সায়েন্স সিটিতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এ যাবৎ বিউটিশিয়ানদের নিয়ে আয়োজিত সবথেকে বড় এক দিনের "Hair cutting seminar." এই অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন *Go Career For Country* এর তরফ থেকে , বিশিষ্ট motivational speaker শ্রী মানস মুখার্জী। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন ভারত বিখ্যাত সেলিব্রিটি Hair Dresser, Jawed Habib ।
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত প্রায় ৬০০ বিউটিশিয়ান এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাঁরা গোটা দিন স্বয়ং জাভেদ হাবিব স্যার-এর কাছ থেকে শিখে গেলেন যে কীভাবে গ্রাহকদের আরও উন্নতমানের পরিষেবা দেওয়া যায়। শেখানো হয় এই chemical এর দুনিয়াতে চুলের স্বাস্থ্য কীভাবে আরও ভালো রাখা যায়। কারণ মানুষের সৌন্দর্য্যে একরাশ চুলের ভূমিকা অনেক। শুধু মাথাভর্তি চুল নিলেই হবে না। এর প্রকৃত যত্ন করতে হবে। অনেক সময় ভুল শিক্ষাপদ্ধতির কারণে চুলের যত্নের পরিবর্তে যাতনা বেশি করা হয়। সেই পরিস্থিতি থেকে নিস্তার পাওয়া পদ্ধতিও শেখানো হয় এই সেমিনারে। এই কর্মশালায় হতে কলমে দেখানো হয় কীভাবে নিষ্প্রাণ চুলে প্রাণের সঞ্চার ঘটানো হয়।
এছাড়াও অন্যান্য শিক্ষণীয় বিষয় ছিল - New colouring and chemical techniques, Innovative texurization, Advanced haircut, Hair colour balance, Signature Haircut by Jawed Habib এবং আরও অনেক কিছু । শেখানো হয় আরও কিছু পেশাগত কৌশল যা অংশগ্রহণকারীদের আগামীদিনে কাজে লাগবে। অনুষ্ঠানের শেষে জাভেদ হাবিবের হাত থেকে প্রত্যেকে সার্টিফিকেট পান।
আয়োজক মানস মুখার্জি বলেন , " এই কর্মশালার প্রধান উদ্দেশ্য গ্রামবাংলার প্রান্তিক ও অতিসাধারণ বিউটিশিয়ানদের আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা। যাতে তারা তাদের কর্মকুশলতার মাধ্যমে গ্রাহকদের উন্নত থেকে উন্নততর পরিষেবা দিতে সক্ষম হন। নিজেদের সুপ্রতিষ্ঠিত করে সমাজে উদাহরণ তৈরি করতে পারেন। এই কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের অধিকাংশই মহিলা ছিলেন। নারীশক্তি প্রতিষ্ঠিত হলে আমাদের সামাজিক ভিত আরও সুদৃঢ় হবে।" উনি আরও বলেন - " সমাজের সমস্ত দায়ভার রাজনীতিকদের হাতে না ঠেলে আমরা যে যেমন জায়গায় কর্মরত সেখানে নিজেদের মতো করে সমাজের জন্য তথা সমষ্টিগত মানুষের জন্য অনেক কিছুই করতে পারি।" এই কর্মশালায় অনেক সিঙ্গেল মাদার যেমন অংশগ্রহণ করেছিলেন ,তেমনি ছিলেন ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধরত বেহালার রিয়া রক্ষিত দাস। যিনি বলেন জীবনযুদ্ধে জেতার জন্য এই ধরণের কর্মশালা অনেক উৎসাহ ও প্রেরণা জোগায়। বজবজ থেকে আসা বিউটিশিয়ান কোচ সুমনা দত্ত বলেন - এই ধরনের কর্মশালায় বারবার ছাত্রদের নিয়ে আসতে চান। মানস মুখার্জীর উদ্যোগে এই ধরণের কর্মশালা আরও চাই ,যাতে গ্রামবাংলার মেয়েরা আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা লাভ করে সমাজে নিজেদের আরও সুপ্রতিষ্ঠিত করতে পারে।
কর্মশালার শেষে নির্ধারণ হয় যে আগামী কর্মশালা ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৪-এ অনুষ্ঠিত হবে।
এই ধরনের কর্মশালার মাধ্যমেই সাধারণ মানুষ হয়ে উঠবেন প্রত্যয়ী, ফিরে পাবেন আত্মমর্যাদা । তবেই তো আমরা তৈরি করতে পারব ' আত্মনির্ভর ভারত '।
(ডিসক্লেমার: এই নিবন্ধটি একটি ফিচার্ড প্রতিবেদন। ABP অথবা ABP LIVE এখানে প্রকাশিত মতামতকে সমর্থন/সাবস্ক্রাইব করে না। উল্লিখিত অনুচ্ছেদে বর্ণিত সব কিছুর জন্য অথবা উল্লিখিত নিবন্ধে বর্ণিত/নির্দিষ্ট ভাবনা, মতামত, ঘোষণা, ডিক্লেয়ারেশন, যাচাইকরণ ইত্যাদির জন্য আমরা কোনওভাবেই দায়ী থাকব না। সেই অনুসারে পাঠকদের কোনও বিষয়ে বিবেচনা বা সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।)