Anubrata Mondal: গ্রেফতার অনুব্রত, ঢাক বাজিয়ে গুড়-বাতাসা বিলি বাঁকুড়ার বিজেপি কর্মীদের
Anubrata mondal Arrested: ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে পেয়ারাবাগান এলাকায় পথচলতি মানুষ ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে নকুলদানা ও গুড়-বাতাসা বিলি করা হয়।

পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: গরুপাচার মামলায় সিবিআইয়ের (CBI) হাতে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) গ্রেফতারের পরেই বাঁকুড়ায় (Bankura) পথে নামলেন বিজেপি (BJP) কর্মীরা। ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে পেয়ারাবাগান এলাকায় পথচলতি মানুষ ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে নকুলদানা ও গুড়-বাতাসা বিলি করা হয়। ঢাকও বাজান বিজেপি কর্মীরা।
বিজেপি নেতা বিকাশ ঘোষের কথায় বাঁকুড়ার মানুষও চাইতেন যে অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হোন। আজ যখন গুড় বাতাসা দেওয়া হয় তখন সকলে হাস্যমুখেই সেই বাতাসা নেন এলাকাবাসী। অনুব্রত মণ্ডল বলেছিলেন পঞ্চায়েত ভোটে চরাম চরাম ঢাক বাজাবেন। অথচ, সেই পঞ্চায়েত ভোটের আগেই গ্রেফতার হলেন। তাই এখন সেই ঢাক বাজানো হচ্ছে।
তবে শুধু বাঁকুড়া নয়। একাধিক জেলাতেও বিজেপি কর্মীরা ঢাক বাজিয়ে গুড়-বাতাসা-নকুলদানা বিলি করেছেন। গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারের পরেই আসানসোলের কোর্ট মোড়ে পথচলতি মানুষকে নকুলদানা, গুড়-বাতাসা খাওয়ালেন আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। বাজল ঢাক। পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদায় রাজ্য সড়কে দাঁড়িয়ে গুড়-বাতাসা, নকুলদানা বিলি করলেন বিজেপি কর্মীরা।
আরও পড়ুন, 'অনুব্রত মুড়ির টিনে কাদের কাছে টাকা পাঠিয়েছেন সেই নাম বলবেন আশা রাখি', মন্তব্য শুভেন্দুর
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর তৃণমূলের আরও এক হেভিওয়েট নেতা কেন্দ্রীয় এজেন্সির জালে। গরুপাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল। গতকাল হাজিরা এড়ানোর পর আজ সকালে আদালতের নির্দেশনামা ও মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে বোলপুরের নীচুপট্টিতে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির বাড়িতে পৌঁছে যান সিবিআই অফিসাররা। অনুব্রতর বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাড়িতে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন সিবিআই আধিকারিকরা। বাড়ির সকলের মোবাইল ফোন নিয়ে নেওয়া হয়।
সিবিআই সূত্রে খবর, এর আগে গতকাল বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিত্সক চন্দ্রনাথ অধিকারীর সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। আজ ওই চিকিত্সকের বয়ান রেকর্ড করা হতে পারে। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত প্রভাব খাটিয়ে চিকিত্সককে দিয়ে প্রেসক্রিপশন লেখানোর চেষ্টা করেছিলেন কিনা, তা জানতে চাওয়া হয়। কার নির্দেশে ওই সরকারি চিকিত্সক বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির বাড়িতে গিয়েছিলেন, তাও জানতে চায় সিবিআই। খবর সূত্রের।






















