প্রদ্যোৎ সরকার, চাপড়া: বাংলাদেশে (Bangladesh) পাচারে আগে বাজেয়াপ্ত হল ৩০০ বোতল নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ (Banned Cough Syrup)। ওই সিরাপগুলো উদ্ধার হয়েছে নদিয়ার (Nadia) চাপড়া (Chapra) থানার অন্তর্গত খ্রিস্ট পাড়া এলাকায় একটি বাড়ির থেকে।


আরও পড়ুন: Kalatan Dasgupta: 'কোনও অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন এলে ধরতে পারব না?', কলতান গ্রেফতারি শুনানিতে কী বলল আদালত?


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চাপড়া থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে খ্রিস্ট পাড়া এলাকার একটি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করল ৩০০ বোতল নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ। ঘটনাটির কথা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।


পুলিশ সূত্রে খবর, আগে থেকে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে পুলিশ ওই বাড়ির উপরে নজর রাখছিল। মঙ্গলবার রাতে নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে ওই ‌বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। চাপড়া থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অনিন্দ্য মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে প্রচুর পুলিশ কর্মী বাড়ির তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন। সেখান একটি ‌ঘরের ভিতরে খাটের নিচে পেটিতে ভিতরে রাখা ছিল নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার ডিএসপি শিল্পী পাল। তল্লাশি চালিয়ে সমস্ত কাশির সিরাপ বাজেয়াপ্ত করে বাড়িটি সিল করে দেয় পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে পুলিশ বাড়ি মালিকের নাম প্রকাশ করেনি। তবে কোথা থেকে এলো এত নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ ও বাংলাদেশে কার মাধ্যমে পাচার হত তা জানতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।


আরও পড়ুন: Malda News: দীর্ঘদিন ধরে জলমগ্ন মালদার নেতাজি কলোনি, সমস্যায় জর্জরিত বাসিন্দারা


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গ থেকে নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ ফেনসিডিল বাংলাদেশে পাচার করা হয় বলে অভিযোগ। কাশির ওষুধ হলেও অনেকে এই সিরাপটিকে নেশার জন্য খেয়ে থাকে। বাংলাদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় হলেও ভারতে নিষিদ্ধ এই কাপ সিরাপটি। তারপরও অবশ্য চোরাগোপ্তা ভাবে এপার বাংলা থেকে ওপার বাংলায় পৌঁছে যায় নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ। আর সেখানে বেশ চড়া দামেই বিক্রি হয়। ৩০০ বোতল কাশির সিরাপ বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে চাপড়ার ওই বাড়িটিতে লুকিয়ে রাখা হলেও শেষ রক্ষা হল না। পাচারের আগেই সেগুলি বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: Satyajit Biswas Murder Case: তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের মামলায় বেকসুর খালাস মুকুল রায় ও জগন্নাথ সরকার