Birbhum: ময়ূরাক্ষীর বালি-মাটি যথেচ্ছ তোলায় নদীবাঁধের পাশে তৈরি হয়েছে জলাশয়, বিপদের আশঙ্কায় বিক্ষোভ স্থানীয়দের
অভিযোগ, নিয়মবহির্ভূতভাবে বালি কেটে ফাঁকা করে দেওয়া হচ্ছে প্রকাশ্যে...
গোপাল চট্টোপাধ্যায়, সিউড়ি: মেশিন এনে চলছে বালি তোলা। রাতারাতি ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে ময়ূরাক্ষী নদীবাঁধের বালি-মাটি। আর তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বীরভূমের সিউড়ির খটঙ্গা পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা। বেআইনি কার্যকলাপ ঠেকাতে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন তাঁরা। পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।
নিয়ম মানার বালাই নেই। অভিযোগ, ময়ূরাক্ষী বাঁধের মাটি, বালি কেটে ফাঁকা করে দেওয়া হচ্ছে প্রকাশ্যে। তার জেরে বাঁধের গায়ে তৈরি হয়েছে জলাশয়।
বিপদ আসন্ন বুঝে এবার বিক্ষোভ দেখিয়ে কাজ বন্ধ করে দিলেন গ্রামবাসীরা। ঘটনা বীরভূমের সিউড়ির খটঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের ধান্য গ্রামের।
অবিলম্বে বালি-মাটি কাটা বন্ধের দাবিতে, মঙ্গলবার বালিঘাটে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান গ্রামের বাসিন্দারা। খটঙ্গার বাসিন্দা আহ্লাদ মণ্ডল বলেন, যা পরিস্থিতি আমরা ভয়ে আছি। বৃষ্টি-বন্যা হলে গ্রাম ভেসে যাবে।
আরেক বাসিন্দা নুরুল ইসলাম বললেন, নদীর ভেতর থেকে, বাঁধের গা থেকে বালি-মাটি কেটে নিচ্ছে। বাঁধ আলগা হয়ে খাল হয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ বিষয়টা দেখুক।
বিক্ষোবের মুখে পুড়ে বালিখাদানের ম্যানেজারের সাফাই, বালি তুলছে বহিরাগতরা। বালিঘাট ম্যানেজার শেখ পিয়ারুল বলেন, বহিরাগতরা এসে বালি তুলেছে। খাল তৈরি হয়েছে। খাল বুজিয়ে দেব।
কিন্তু সবার চোখের সামনে থেকে কী করে বালি তুলে নিচ্ছে বহিরাগতরা? কী করছে প্রশাসন? প্রশ্নের মুখে কড়া বার্তা দিয়েছে প্রশাসন। সিউড়ি-১ নম্বর ব্লকের বিডিও শিবাশিস সরকার বলেন, বিষয়টি নজরে এসেছে। অভিযোগ পেয়েছি। আমরা ইরিগেশনের অ্যাস্টিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে জানিয়েছে। যৌথ দল বিষয়টি দেখবে। কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই কাজ আইন বিরুদ্ধে।
আশ্বাস নয়, গ্রামবাসী চাইছেন অবিলম্বে ব্যবস্থা নিক প্রশাসন। কারণ, বাঁধের ক্ষতি হলে বড় বিপদের মুখে পড়েবন তাঁরাই।
বীরভূমে যখন বেআইনি বালি-মাটি তোলার দাপাদাপি, সেখানে উত্তর ২৪ পরগনায় রাতারাতি 'চুরি' হয়ে যাচ্ছে নদী। অভিযোগ, নদীর চরে গড়ে উঠছে ঘর-বাড়ি। নদীর মধ্যেই চলছে ভেড়ি বানিয়ে মাছচাষ। স্থানীয়দের অভিযোগ, সব দেখেও উদাসীন প্রশাসন। দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও।