Sujay Krishna Bhadra: এবার সিবিআইয়ের জালে কালীঘাটের কাকু, হেফাজতে চেয়ে আবেদন
Kalighat er Kaku: নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির মামলায় জামিন, এবার সিবিআইয়ের জালে
কলকাতা: ইডির মামলায় জামিন, এবার সিবিআইয়ের জালে কালীঘাটের কাকু। প্রেসিডেন্সি জেল থেকেই শোন অ্যারেস্ট দেখাল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। হেফাজতে চেয়ে ব্যাঙ্কশাল আদালতে আবেদন করল সিবিআই।
এবার কি আরও বিপাকে পড়লেন কালীঘাটের কাকু? ED-র দায়ের করা মামলায় জামিন পাওয়ার দু’সপ্তাহের মধ্যেই, প্রাথমিক দুর্নীতি মামলায় এবার CBI-এর হাতে গ্রেফতার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। CBI-তাঁকে 'শোন অ্যারেস্ট' করার পর, 'কালীঘাটের কাকু'কে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে, সুজয়কৃষ্ণকে প্রেসিডেন্সি জেলের হাসপাতালের বদলে কোনও কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালে মেডিক্যাল টেস্ট করানোর নির্দেশ দিলেন বিচারক। মঙ্গলবার, সুজয়কৃষ্ণকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে ভার্চুয়ালি পেশ করা হলে, তাঁকে ৪ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। সেইসঙ্গে কাকুকে প্রেসিডেন্সি জেলের হাসপাতাল থেকে কেন্দ্রীয় সরকারি কোনও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দেয় আদালত।
প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত বছরের ৩০ মে, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে গ্রেফতার করে ইডি। ৬ ডিসেম্বর ইডির করা সেই মামলায় জামিন পান কাকু। এদিকে, এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতেই সুজয়কৃষ্ণর বিরুদ্ধে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট ইস্যু করে সিবিআই। ফের আরেক কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে গ্রেফতারির আগাম আশঙ্কা করেই সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন সুজয়কৃষ্ণ। যদিও তা খারিজ করে দেয় জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ। মঙ্গলবার কালীঘাটের কাকুকে শোন অ্যারেস্ট করার পর, ব্যাঙ্কশাল আদালতে তাঁর জামিনের আবেদন করে। সুজয়কৃষ্ণের আইনজীবী বলেন, "কাকুর বাড়ি সিবিআই রেড করার পর আর কিছু করেনি। তারপর ইডি গ্রেফতার করে। এখন ইডি আর সিবিআই নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় আদানপ্রদান করে যখন জানতে পারল ইডির মামলায় জামিনের কথা, তখনই সিবিআই গ্রেফতার দেখাচ্ছে। ওঁকে জামিন দেওয়া হোক।''
তৎক্ষণাৎ জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআইয়ের আইনজীবী সওয়াল করেন, "প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের যোগ মিলেছে। সন্তু, কুন্তলদের সঙ্গে কাকু-ও অযোগ্য প্রার্থীদের থেকে টাকা নিয়ে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে অযোগ্য চাকরি প্রার্থীদের তালিকা পাঠান। সুজয়কৃষ্ণকে সিবিআই হেফাজতে পাঠানো হোক।'' পাল্টা সুজয়কৃষ্ণর আইনজীবী প্রশ্ন করেন, "সশরীরে হাজিরা না দিতে পারলে কীভাবে সিবিআই হেফাজত হবে?''
তখনই বিচারক প্রশান্ত মুখোপাধ্যায় তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, আপনার মক্কেল যদি দিনের পর দিন না আসেন সেটা ওঁর বিরুদ্ধেই যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সিবিআইয়ের কোনও ভূমিকা নেই। আদালত সব দেখছে, সব বোঝে। তারপরই রীতিমতো কড়া সুরে বিচারককে বলতে শোনা যায়, আমি দেখব কীভাবে ওঁকে সশরীরে হাজির করানো যায়। এরপরেই সুজয়কৃষ্ণর ৪ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয় ব্যাঙ্কশাল আদালত। সেইসঙ্গে কাকুর শারীরিক অসুস্থতার কথা বিবেচনা করে, তাঁকে জেল হাসপাতাল থেকে কেন্দ্রীয় সরকারি কোনও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দেন বিচারক। পাশাপাশি এই শর্তও বেঁধে দেওয়া হয়, কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা সুজয়ের মেডিক্যাল টেস্ট করে সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁকে কবে সিবিআই দফতরে নিয়ে যাওয়া যাবে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: বামেদের অভিযানে রণক্ষেত্র বারাসাত, কলেজ চত্বরে SFI-TMCP সংঘর্ষে ধুন্ধুমার