গোপাল চট্টোপাধ্যায়, নলহাটি(বীরভূম) : বোধন থেকেই সন্ধ্যারতি দিয়ে শুরু হয়ে গেল বীরভূম-মুর্শিদাবাদ সীমান্তে নলহাটি নাকপুর গ্রামের জমিদার প্রতিষ্ঠিত দুর্গাপুজোর। গতকাল শুরু হওয়া এই পুজোর দায়িত্ব ঘোষ ও রায় পরিবার যৌথভাবে চালিয়ে আসছে। দুই পরিবার পালা করে পুজো করে আসছে। এবার পুজোর দায়িত্ব পেয়েছে রায় পরিবার।
আরও পড়ুন ; বিশ্বভারতীর অধ্যাপকের তৈরি ৩ কুইন্টাল ওজনের ধাতব দুর্গা পাড়ি দেবে ওড়িশা
পুজো কবে থেকে শুরু হয়েছিল তার দিনক্ষণ এখন আর জানা নেই। তবে আনুমানিক ১৭৫ বছর আগে পুজো শুরু করা হয়েছিল বলে দাবি করেন পুজোর অন্যতম কর্তা সুনীতি কুমার ঘোষ। তিনি জানান, এক সময় ঘোষ পরিবার পুজো চালিয়ে এসেছিল। কিন্তু পরিবারের সদস্য শচীনন্দন ঘোষের কোনও পুত্রসন্তান ছিল না। ফলে, মেয়ের পরিবার পুজোয় অংশগ্রহণ করেছিল। ঘোষ ও রায় পরিবারের সদস্যরা এখন যৌথভাবে পুজো চালিয়ে আসছে পালা করে। বছর দশেক ধরে এভাবেই চলে আসছে জমিদার বংশের পুজো।
আরও পড়ুন ; মহম্মদবাজারে জঙ্গল-ঘেরা নির্জন জায়গায় পলাশবাসিনী-রূপে পূজিত হন দুর্গা
রীতি মেনেই বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হল পুজো। প্রতিদিন সন্ধ্যায় সন্ধ্যারতি এবং ঢাক বাজিয়ে মা দুর্গার আহ্বান করা হয়। ষষ্ঠীর দিন থেকে রীতি মেনে পুজো শুরু হয়। পুজো চার দিন প্রতিদিন ২০ কেজি করে আতপ চাল, তিন কেজি আটা, ছানার মণ্ডা, নারকেলের নাড়ু ভোগ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন ; ন’বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে প্রাচীন মল্ল গড়ে শুরু দুর্গাপুজো
বিশ্বাস করা হয়, নবমীর যজ্ঞের কলা খেলে নিঃসন্তান মহিলা সন্তান ধারণ করতে পারবেন। সেই কারণেই প্রতি বছর এক জন করে মহিলা এসে কলা নিয়ে যান এখানকার। যজ্ঞের কলা পাওয়ার জন্য আগে থেকেই অনেকে নাম লিখিয়ে রাখেন। আগে এলে আগে পাবেন এই ভিত্তিতেই যজ্ঞের কলা দেওয়া হয়। দূরদূরান্তের গ্রাম থেকে মানুষ পুজোয় অংশগ্রহণ করেন।