কলকাতা: 'এসএসকেএমে গিয়ে কী বলেছি মনে নেই', SSKM-কাণ্ডে বয়কটের মন্তব্য থেকে সরে দাঁড়ালেন মদন মিত্র (Madan Mitra)। যদিও তোপ দাগতে ছাড়লেন না বিজেপি নেতা সজল ঘোষ (Sajol Ghosh)। মূলত, এই মদনের সংযোজন 'আমি হ্যালুসিনেশনে ভুগছি। আমার মুকুলের মতো অ্যালজাইমার্স হয়েছে।' এবং এখানেই শেষ নয় রাজনৈতিক সন্ন্যাস নেবেন বলে ভাবছেন, দাবি মদনের। যদিও এই বক্তব্যের পর যবনিকা পড়েনি। থামেনি বিতর্ক। বরং বিতর্ক উসকে তীব্র আক্রমণ সজল ঘোষের।


'ব্রেনে কেমিক্যাল লোচা'


এদিন সজল ঘোষ বলেন, 'রাজনৈতিক সন্ন্যাস বলে উনি কাকে লক্ষ্য করলেন ? নিজেকে না পিসিকে ? পিজি-র বদলে পিসিকে বললেন কিনা আমি বলতে পারবো না।  কিন্তু এই যে, অ্যালজাইমার্স, তৃণমূলের সমস্ত প্রবীণ নেতাদের অ্যালজাইমার্স, অতীত ভুলে যাওয়া, কাল রাতে কী বলল,.. এটা একটা সিনেমায় দেখেছিলাম, বলেছিল কেমিক্যাল লোচা। ব্রেনে কেমিক্যাল লোচা। এখন কোন কেমিক্যাল লোচায় ওনার এগুলি হচ্ছে, আমার এ বলা সম্ভব নয়।'


'দয়া করে ছোটদের ভবিষ্যত নিয়ে আর ছেলেখেলা করবেন না'


 মূলত, জল্পনা উস্কে মদন বলেন, 'আমার কাছে পিজি মানে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট। অবসরের প্রস্তুতি নিচ্ছি, সচিন রিটায়ার করতে পারলে কেন আমি নয়?অবসর জীবনে ছোটদের পড়াব।' আর এখানেই সজল ঘোষের সংযোজন, কিন্তু একটা কথা আমি বলতে পারি, হাতজোড় করে অনুরোধ করব, সবাই স্কুল টিচার হয়ে গিয়েছেন। মদনদাও হতে বাকি আছেন। উনিও হতে চাইছেন। দয়া করে এই কাজটা করবেন না মদন দা।... আপনি দয়া করে ছোটদের ভবিষ্যত নিয়ে আর ছেলেখেলা করবেন না।' 


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


'কেউ আঘাত পেলে আমি দুঃখিত'


প্রসঙ্গত, শুক্রবার মাঝরাতে, বাইক দুর্ঘটনায় আহত এক যুবককে এসএসকেএমে ভর্তি করাতে নিজে ছুটে যান মদন মিত্র। এরপর,SSKM কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শনিবার তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রর বেনজির সংঘাত তৈরি হয়। খোদ মদন মিত্র এসএসকেএম বয়কটের ডাক দেন।এরপর, পরিস্থিতি সামাল দিতে নামতে হয় খোদ মুখ্যমন্ত্রীর দফতরকে। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে আহত যুবককে ভর্তি করা হয় কলকাতা মেডিক্য়াল কলেজে।  রবিবার, আহত যুবককে দেখতে কলকাতা মেডিক্য়াল কলেজে যান মদন মিত্র। সেখানে গিয়ে শনিবারের বক্তব্যের উল্টো সুর শোনা যায় তাঁর গলায়। তিনি বলেন, 'এসএসকেএমে পরিষেবা পেলে মানুষ নিশ্চয় যাবেন, যাঁদের মনে হয়েছে তাঁরা এফআইআর করেছেন। হাসপাতালের কোনও কর্মীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করিনি। আমার উপস্থিতিতে কেউ আঘাত পেলে আমি দুঃখিত।'