Anubrata Mondal: বোলপুরে ফিরলেন গ্রামছাড়া কেষ্ট-অনুগামীরা, অনুব্রতকে প্রণাম করে ২ বছর পর বাড়িতে প্রবেশ
Bolpur TMC News: এই বিষয়ে ঘরে ফেরা তৃণমূল কর্মী খুদু বাগদী জানান, দাদা জেলে যাওয়ার পর থেকে গ্রাম ছাড়া ছিলাম। দাদা গ্রামে যেতেই গ্রাম ফিরে এসেছি।
ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল শনিবার তার গ্রামের বাড়ি নানুরের হাটসেরান্দীতে যান। মেয়ে সুকন্যাকে নিয়ে পারিবারিক দুর্গাকে প্রণাম করে পৈত্রিক বাড়িতে কিছু সময় কাটিয়ে বোলপুরে ফিরে আসেন। আর সেই সময় গ্রাম ছাড়া বেশ কয়েকজন অনুব্রত অনুগামী তৃণমূল কর্মীরা হাটসেরান্দী গ্রামে ফিরে আসে। তাদের মধ্যে খুদু বাগদী, পাঁচু থান্ডার সহ অন্যান্যরা অনুব্রত মন্ডলের সঙ্গে দেখা করেন। খুদুকে দেখা যায় অনুব্রতকে প্রণাম করতেও। অভিযোগ, অনুব্রত মন্ডল জেলে যেতেই এদের গ্রাম ছাড়া করে ছিল তৃণমূলের একাংশ। প্রায় দু'বছরের বেশি তারা গ্রামছাড়া ছিলেন।
কিন্তু অনুব্রত গ্রাম থেকে চলে যেতেই গ্রামে ফিরে আসা তৃণমূল কর্মীদের প্রথমে হুমকি দেওয়া শুরু হয়। এর মধ্যে সোমবার রাতে এদের মধ্যে পাঁচু থান্ডারকে মারধর করা হয়। পাঁচু বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হয়।
এদিকে এই ঘটনা সামনে আসতেই নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। নানুর থানার নানুর বিধানসভার হাটসেরান্দী গ্রামে জেলা সভাপতির গ্রামেই তার অনুগামীদের মারধর করা হচ্ছে। প্রকাশ্যে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। প্রসঙ্গত, এই নানুর বিধানসভার দায়িত্বে রয়েছেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ।
এদিকে এই বিষয়ে ঘরে ফেরা তৃণমূল কর্মী খুদু বাগদী জানান, দাদা জেলে যাওয়ার পর থেকে গ্রাম ছাড়া ছিলাম। দাদা গ্রামে যেতেই গ্রাম ফিরে এসেছি।
এদিকে নানুরে অনুব্রত ঘনিষ্ট তৃণমূল নেতা কেরিম খান জানান, তাদের কাছে খবর আছে পার্টি অফিসে ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হচ্ছে। যারা মারছে তারা দলের লোক, যাদের মারা হচ্ছে তারাও দলের লোক। ঘটনাটি ঘটেছে কেষ্টদার গ্রামে। এই ধরনের ঘটনা গ্রামে গ্রামে ঘটলে প্রশাসনের এক্তিয়ারের বাইরে চলে যাবে।
নানুরের প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরা জানান, কেষ্টদা যে দিন থেকে ছিল না হাটসেরান্দীর কিছু তৃণমূল কর্মী গ্রামছাড়া ছিল। এরা গ্রামে ফিরতেই এক তৃণমূল নেতার লোকজন তাদের মারধর করে। তাদের নানুর থানায় যেতে দেওয়া হয়নি। অনুব্রত মন্ডলের গ্রামে যারা এই কাজ করছো তারা সাবধানে চলো।
এদিকে কাজল শেখ ঘনিষ্ঠ নানুরের ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য জানান, এই বিষয়ে আমাদের কিছু জানা নেয়। কে গ্রামের বাইরে ছিল, কে গ্রামের ফিরে এসেছে তাও জানিনা।
এই বিষয়ে বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা জানান, তৃণমূলের মারামারি মানে কাটমানির ভাগাভাগি। এত দিন কেষ্টদা জেলে ছিলেন কাজল দাখাচ্ছিলেন। এখন কাজল দার খাওয়া ভঙ্গ হবে তাই তাই দাদার অনুগামীরা বাকিদের পিটিয়ে দিয়েছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে