Anubrata Mondal : মাত্র ৪ বছরে ধাপে ধাপে জমা পড়েছে ২০ কোটি টাকা ! অনুব্রতর এই নগদের দিকেই নজর ED র
Anubrata Mondal Money Update : অনুব্রত বাড়িতে ডেকে বা চালকের হাত দিয়ে পাঠাতেন টাকা, বয়ান দিয়েছেন প্রাক্তন ব্যাঙ্ক কর্মী।
প্রকাশ সিনহা, বীরভূম : অনুব্রতর ( Anubrata Mondal ) ২০ কোটি টাকা নগদ জমার দিকে নজর ইডি-র ( ED ) । সরকারি-বেসরকারি সরকারি ব্যাঙ্কে ২০ কোটি টাকা জমা পড়েছে বিভিন্ন সময়ে, দাবি ইডি-র। বোলপুর এবং তার আশপাশের ব্যাঙ্কে জমা পড়েছে এই পরিমাণ টাকা, খবর সূত্রের
২০১৬ থেকে ২০২০ পর্যন্ত ধাপে ধাপে জমা পড়েছে ২০ কোটি টাকা, খবর সূত্রের। বিভিন্ন সময়ে অনুব্রত বাড়িতে ডেকে বা চালকের হাত দিয়ে পাঠাতেন টাকা, বয়ান দিয়েছেন প্রাক্তন ব্যাঙ্ক কর্মী। প্রায় ৬ কোটি টাকা নগদ পাঠিয়ে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে জমা করতে বলা হত, দাবি প্রাক্তন ব্যাঙ্ক কর্মীর। এর মধ্যে ছিল বিভিন্ন ভুয়ো কোম্পানির অ্যাকাউন্টও, দাবি ইডি-র। জমা টাকার মধ্যে ৩ কোটি টাকা সুকন্যার নামে এফডি করা হয়েছে, দাবি ইডি-র।
আরও পড়ুন :
নিউমোনিয়া মানেই কি অ্যাডিনো সংক্রমণ? বুঝবেন কীভাবে? কখন লক্ষণ ভয়ানক?
গরু পাচার মামলার তদন্তে বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতির আর্থিক যোগসূত্র খুঁজতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে বলে ইডি সূত্রের খবর! এর আগে সিবিআইয়ের চার্জশিটে অনুব্রত ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে ৬ দিনে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকার সম্পত্তি কেনার যে দাবি করা হয়েছিল, এবার তারই সূত্র-সন্ধানে নেমেছে ইডি।
কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রের দাবি, ২০১৪ সালের ১০ থেকে ১৭ নভেম্বরের মধ্যে, বোলপুরের কালিকাপুর মৌজায় প্রচুর জমি কেনা হয়েছিল। যার দামের বেশিরভাগটাই মেটানো হয় নগদে। ইডি সূত্রের দাবি, ভোলে ব্যোম রাইস মিলকে সামনে রেখে অনুব্রতর স্ত্রী ছবি মণ্ডলের নামে কেনা হয়েছিল জমি। ২০১৬ সালেও নিজের নামে দেড় কোটি টাকার সম্পত্তি কেনেন অনুব্রত। অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী, কন্যা, আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠদের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে ইডি। সূত্রের খবর, এমন ১২১টি সম্পত্তি এখন কেন্দ্রীয় এজেন্সির আতসকাচের তলায়। ইডি সূত্রে জানা গেছে,
বীরভূমের বোলপুর, গয়েশপুর, নানুর, এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা-তে অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের নামে সম্পত্তির হদিশ মিলেছে।
ইডি সূত্রের দাবি, অনুব্রত মণ্ডলের নামে ২৪টি, তাঁর মেয়ে সুকন্যার নামে ২৬টি, প্রয়াত স্ত্রী ছবি মণ্ডলের নামে ৬টি সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গেছে। তদন্তকারীদের মনে প্রশ্ন, গরু পাচারকাণ্ডের কালো টাকা, সাদা করতেই কি কেনা হয়েছিল বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি!