ভরতপুর: তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের (TMC Inner clash)জেরে রণক্ষেত্রে পরিণত হল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভরতপুর। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল। তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ও ব্লক সভাপতি নজরুল ইসলামের অনুগামীদের সম্মুখ সমর থামাতে রীতিমত নাজেহাল হতে হয় পুলিশকে। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় প্রচুর পুলিশ কর্মী শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হন।
বুধবার বিকেলে ভরতপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হুমায়ুন কবীর গদ্দার বলে আক্রমণ ভরতপুরে মিছিল করেন ব্লক সভাপতি নজরুল ইসলামের অনুগামীরা। আজ তার পাল্টা বাইক মিছিল বের করেছিলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ন কবীরের অনুগামীরা। অভিযোগ, সেই বাইক মিছিলের ওপর হামলা চালায় ব্লক সভাপতি নজরুল ইসলামের লোকজন। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় ভরতপুর। ভরতপুর বাসস্ট্যান্ড চত্বরে মিছিলের পরিবর্তে দুটি গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে শুরু হয় তুমুল মারামারি। যার জেরে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় স্থানীয় এলাকায়। আতঙ্কিত হয়ে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করতে দেখা যায় সাধারণ মানুষকে।
তৃণমূল কংগ্রেসের দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় ভরতপুর থানার পুলিশ। তারা কোনও ভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় নামানো হয় ব়্যাফ। তারা লাঠি নিয়ে দু-পক্ষের লোকজনকে তাড়া করে ছত্রভঙ্গ করে। বর্তমানে ওই এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ। এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অস্বস্তিতে পড়েছে ঘাসফুল শিবির। অন্যদিকে গণ্ডগোলের জন্য একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছে দুটি গোষ্ঠীর লোকজন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ভরতপুরে বিধায়ক ও ব্লক সভাপতির অনুগামীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের বিষয়টি দীর্ঘদিনের। প্রায়ই দু'পক্ষের মধ্যে গণ্ডগোল লেগেই থাকে। যার জন্য মাঝে মধ্যেই তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। ফের একবার সেই ঘটনার মুখোমুখি হতে হল তাদের।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Roopa Ganguly: জামিন পেলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, রাতভর ধর্নার পর গ্রেফতার হয়েছিলেন সকালেই