কমলকৃষ্ণ দে, পালসিট: জাতীয় সড়কের টোল প্লাজার দখল কাদের হাতে থাকবে তা নিয়ে তৈরি হওয়া বিবাদের জেরে তুমুল গণ্ডগোলের সৃষ্টি হল তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) শ্রমিক ইউনিয়নের দু-পক্ষের মধ্যে। কথা কাটাকাটি থেকে শুরু হয় গন্ডগোল ও হাতাহাতি ও পরে তা পরিণত হল সংঘর্ষে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারির পালসিটে (Palsit Toll Plaza)। শ্রমিক ইউনিয়নের দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে হওয়া এই সংঘর্ষের জেরে জখম হলেন ৬ থেকে সাতজন। তাঁদের বর্ধমান অনাময় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পালসিটে জাতীয় সড়কের ওপর থেকে থাকা টোল প্লাজার দখল কার হাতে থাকবে তা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই ঝামেলা চলছিল মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য ও মেমারি এক নম্বর ব্লক সভাপতি নিত্যানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামীদের মধ্যে। তার জেরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে জখম মেমারি এক নম্বর ব্লকের সভাপতি নিত্যানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামীদের অভিযোগ, টোল প্লাজায় কর্মরত শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। সোমবার তাঁদের আন্দোলন চলাকালীন হঠাৎ করেই টোল প্লাজার বেশ কয়েকজন বিধায়ক অনুগামী কর্মী ও বহিরাগত লোকজন এসে তাঁদের উপর চড়াও হয়। লাঠি নিয়ে তাঁদের উপর আক্রমণ চালায়। এর ফলে তাঁদের বেশ কয়েকজন আহত হয়।
জখম হওয়া ব্যক্তিদের আরও অভিযোগ, মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য টোল প্লাজা থেকে প্রতিমাসে মোটা অঙ্কের টাকা নিতেন। সেই টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়ায় তাঁদের উপর এই আক্রমণ বলেই দাবি শ্রমিকদের।
যদিও মেমারির বিধায়ক মধূসুদন ভট্টাচার্যের অভিযোগ, দু-পক্ষই বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে সরব হয়েছেন। কাজ না করে মজুরি নেওয়া এবং অবসর নেওয়ার পরও কাজ করে যাওয়া নিয়ে প্রতিবাদ করায় গণ্ডগোল হয়েছে। এখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও বিষয় নেই। ঘটনাস্থলে বহিরাগত ছিল কিনা তা প্রশাসন বলতে পারবে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকজন গ্রেফতার হয়েছে। তবে টাকা নেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।