কলকাতা: বইপ্রকাশ নিয়েও এবার রাজ্যপালকে (Governor CV Ananda Bose) আক্রমণ কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh)। 'রাজ্যপাল বই লিখতে পারেন, কিন্তু প্রকাশকের জায়গায় রাজভবন থাকতে পারে না। অশোক স্তম্ভের ছবিও ব্যবহার করা যায় না। আনন্দ বোস বেআইনি কাজ করছেন, অবিলম্বে সংশোধন করুন', রাজ্যপালকে নিশানা তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের। যদিও রাজ্যপাল এই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দেননি।


প্রসঙ্গত, রাজ্যে দোরগড়ায় পঞ্চায়েত ভোট। আর সেই ইস্যুতে ইতিমধ্যেই একাধিকবার আগেও কুণাল ঘোষ নিশানা করেছেন রাজ্যপালকে। বিশেষকরে শুরুটা মমতার সামনে, রাজ্যপালের বাংলায় হাতখড়ি দিয়ে হলেও পরে গ্রাফটা বদলে যায়। শুভেন্দুর কথায়, যা ধীরে ধীরে ট্র্যাকে ফেরা। যদিও এই মুহূর্তে পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই মনোনয়ন পর্ব শুরু হতেই জেলায় জেলায় হিংসার ঘটনা প্রকাশ্যে উঠে আসে। একাধিক খুনের ঘটনা এবার ঘটেছে। যা নিয়ে রাজ্যপালও তোপ দাগতে ছাড়েননি। রাতারাতি তিনি ক্যানিং সফরে গিয়েছেন। হিংসাকাণ্ডে সফর করেছেন ভাঙড়েও। 


হিংসা রুখতে, অভিযোগ জানাতে রাজভবনে খোলা হয় চব্বিশ ঘণ্টার কন্ট্রোলরুম। আর এমনই এক আবহ রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করেন রাজ্যপাল।রাজ্যপাল সম্প্রতি আরও বলেছিলেন,' আমি তাঁকে মন্ত্রিসভার অনুমোদন সাপেক্ষে নিয়োগ করেছিলাম। মানুষের রক্তপাত নিয়ে দরাদরি করা যায় না। হিংসাকে যেকোনও মূল্যে নির্মূল করতে হবে। গণতন্ত্রে হিংসার কোনও জায়গা নেই। হিংসা কোনও অবস্থাতেই কাম্য নয়, কিন্তু হিংসা হচ্ছে। মানুষের রক্তের প্রতি বিন্দুর দায় নিতে হবে কমিশনারকে। যে কোনও পরিস্থিতিতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।'


পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানো নিয়ে টানাপোড়েন চলে গত কয়েকদিন । কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে রজ্য নির্বাচন কমিশন। বিরোধীদের আক্রমণের মুখে পড়েছেন রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিন্হা (Rajiv Senha)। এমনকি নিয়োগে সায় দেওয়ার পরেও, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Annada Bose) রাজীবের জয়নিং রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করে ফেরত পাঠিয়েছেন নবান্নে (Nabanna)।


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ? 


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?


তার পর থেকেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রাজীবের পদে থাকা নিয়ে জল্পনা শুরু হয় (Panchayat Elections 2023)। পঞ্চায়েত ভোট পরিচালনার ক্ষেত্রে তাঁর ইনিংস কি শেষ, ওঠে এই প্রশ্নও। কিন্তু রাজ্যপাল চাইলেই রাজীবকে পদ থেকে সরাতে পারবেন না, তার জন্য ইমপিচমিন্ট বা অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে বলে মত আইন বিশেষজ্ঞদের।