সুনীত হালদার, হাওড়া : পুজোর পর থেকেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। এই অবস্থায় কোভিডের শৃঙ্খল ভাঙতে কড়া হাতে বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করতে শুরু করেছে প্রশাসন। হাওড়ায় এই মুহূর্তে অ্যাক্টিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ৬২৬ জন। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের সোমবারের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় হাওড়ায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। এই পরিস্থিতিতে হাওড়া পুরসভার ১৪টি এলাকাকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলি হল ৩৯, ৪৮, ৪৪, ৩৩, ১৩, ৩২, ৪৭, এবং ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েকটি লেন। 


কলকাতা সহ সংলগ্ন বেশ কয়েকটি জেলাতেই ফিরেছে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন। অনেক জায়গায় আক্রান্তের বাড়িতে স্টিকার সেঁটে দেওয়া হয়েছে, কোথাও সিদ্ধান্ত হয়েছে ব্যানার লাগানোর। শুরু হয়েছে সচেতনতার প্রচার। পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এদিকে আক্রান্তদের বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও মাইকে প্রচার করা হচ্ছে। আক্রান্তদের বাড়িতে হলুদ রংয়ের ব্যাগ দেওয়া হয়েছে। যাতে বায়োমেডিক্যাল ওয়েস্ট দ্রুত সরিয়ে দেওয়া যায়।


প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী জানান পুরসভার বাজারগুলিতে দমকল বাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে স্যানিটাইজ করা হবে। এছাড়াও সপ্তাহে একদিন করে বিভিন্ন থানা এলাকার দোকান এবং বাজার বন্ধ রাখা হবে। গোটা ব্যাপারটা নজরদারির জন্য জেলা স্বাস্থ্য দফতর, প্রশাসন, পুলিশ এবং হাওড়া পুরসভা নিয়ে একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে।


পুজোর আগের মতোই সোমবার নিশ্চিন্দা, শিবপুর ও সাঁকরাইল, মঙ্গলবার বেলুড় ও সাঁতরাগাছি, বুধবার চ্যাটার্জিহাট, গোলাবাড়ি ও জগাছা, বৃহস্পতিবার হাওড়া, দাশনগর, বালি ও ডোমজুড়, শুক্রবার মালিপাঁচঘরা ও লিলুয়া এবং শনিবার ব্যাঁটরা ও বোটানিক্যাল গার্ডেন থানা এলাকার বাজার বন্ধ থাকবে। রবিবারকে বাজার বন্ধ রাখার তালিকা থেকে বাদ রাখা হয়েছে। বাজার-দোকান বন্ধ থাকলেও ওষুধের দোকান খোলা থাকবে।


আরও পড়ুন- উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা সংক্রমণ, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলিতে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা


আরও পড়ুন- হাওড়া পুর এলাকায় ফিরছে কড়া বিধিনিষেধ, প্রত্যেক থানা এলাকায় সপ্তাহে একদিন করে বন্ধ থাকবে বাজার-দোকান