![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
Medical College Hospital: আজবকাণ্ড! গুগলে মেডিক্য়াল কলেজের হেল্পলাইনে চা বিক্রেতার নম্বর!
মঙ্গলবার থেকে বুঝে উঠতে পারছেন না চা বিক্রেতা দীপঙ্কর সিংহ। হাত থেকে মোবাইল নামাতে যাচ্ছেন, ওমনি ফের বেজে উঠছে মুঠোফোন! আর ফোন তুলতেই, ধেয়ে আসছে একের পর এক প্রশ্নবাণ!
![Medical College Hospital: আজবকাণ্ড! গুগলে মেডিক্য়াল কলেজের হেল্পলাইনে চা বিক্রেতার নম্বর! in Google a tea vendor number saved as medical college helpline no Medical College Hospital: আজবকাণ্ড! গুগলে মেডিক্য়াল কলেজের হেল্পলাইনে চা বিক্রেতার নম্বর!](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2023/07/05/03ae9fbfdffa846c38742286980c83611688579742174176_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
সন্দীপ সরকার, কলকাতা : কলকাতা মেডিক্য়াল কলেজে আজবকাণ্ড! গুগলে (Google) মেডিক্য়াল কলেজের (Medical College) হেল্পলাইনে চা বিক্রেতার নম্বর! ফোন করে বিপাকে রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা। আর ফোন ধরে নাজেহাল চা বিক্রেতা! বিষয়টি গুগলকে ইমেল করে জানিয়েছেন তিনি।
না এটা নম্বর নয়। কোথায় পেয়েছেন নম্বর? নেটে পেয়েছি। চা করবেন, দোকানে আসা লোকজনকে খেতে দেবেন, নাকি ফোন ধরবেন...! মঙ্গলবার থেকে বুঝে উঠতে পারছেন না চা বিক্রেতা দীপঙ্কর সিংহ। হাত থেকে মোবাইল নামাতে যাচ্ছেন, ওমনি ফের বেজে উঠছে মুঠোফোন! আর ফোন তুলতেই, ধেয়ে আসছে একের পর এক প্রশ্নবাণ!
দাদা কলকাতা মেডিক্য়ালে বেড খালি আছে? এই ডাক্তার কখন বসবেন? ওই ডাক্তার কোন ঘরে বসেন? আউটডোরের টিকিট ক'টা থেকে দেওয়া হয়? কলকাতা মেডিক্য়াল কলেজে (Calcutta Medical College) আজবকাণ্ড!গুগলে মেডিক্য়াল কলেজের হেল্পলাইনে চা বিক্রেতার নম্বর!
দীপঙ্করের টি স্টল কলকাতা মেডিক্য়াল কলেজের এমার্জেন্সির ঠিক পিছনে চা, কফি, স্ন্যাকস, কেক নিয়ে কারবার। হাসপাতালের পাশে দোকান বলে, সেখানকার সব খুঁটিনাটি তিনি জানতে বাধ্য নাকি! প্রথমে বিরক্ত হলেও, সন্দেহ হয়...মঙ্গলবার সকাল থেকে একইরকম প্রশ্ন করে আসা ফোনের সংখ্য়াটা দুপুরে যখন তিরিশ ছাড়িয়ে যায়! কথায় কথায় জানতে পারেন, গুগলে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের নাম লিখে সার্চ করলে হেল্পলাইনে তাঁর নম্বর দেখাচ্ছে।
নিজেও পরখ করে দেখেন। এর পর, ছুটে যান কলকাতা মেডিক্য়াল কলেজের পুলিশ ফাঁড়িতে। তারা বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানাতে। হাসপাতাল বলে, গুগলে জানান। শেষমেশ নিরুপায় দীপঙ্কর, ফোন সুইচড অফ করে দেন। বুধবার সুইচ অন করতেই, ফের একই অবস্থা!শুধু তো দীপঙ্করই নন, তথ্য়ের সন্ধানে যাঁরা ফোন করছেন, তাঁরাও তো সমান বিপাকে পড়ছেন। কলকাতা মেডিক্য়াল কলেজের সুপার নিজেও বিষয়টি যাচাই করেন।
কলকাতা মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার অঞ্জন অধিকারী বলছেন, টেকনোলজি কম বুঝি। যেটা হয়েছে সমস্য়া। আজ রাতেই যারা দেখে সাইবারে দেখছি কি করে বন্ধ করা যায়।
মঙ্গলবার, উড়ো ফোনের চক্করে সারাদিন ব্য়বসা লাটে উঠেছে। দীপঙ্করের দোকান থেকেই রোজ মেডিক্য়ালের চিকিৎসকদের কাছে খাবার যায়। মঙ্গলবার, তাঁরা আর ফোনে পাননি। বিষয়টা গুগলকে ইমেল করে জানিয়েছেন দীপঙ্কর। সুরাহা কবে হবে, এখন সেটাই ভাবছেন।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)