JU Student Death: হস্টেলে ছাত্রমৃত্য়ুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৪ বার মিটিং! নেতৃত্বে প্রাক্তনীরা?
Jadavpur University: পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে কী বলতে হবে, সেটা শেখানোর জন্য়ই কি বারবার মিটিং?
ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে (JU University Hostel) ছাত্রমৃত্যুর তদন্তে যত দিন যাচ্ছে উঠে আসছে নতুন নতুন তথ্য। ছাত্রের মৃত্যুর পর হস্টেলে ৪ বার জিবি বৈঠক হয়। সেই জেনারেল বডি মিটিংগুলির নেতৃত্বে ছিলেন প্রাক্তনীরা। এমন ঘটনার পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে কী কী প্রশ্ন হতে পারে, তা বলে দেওয়া হয় ছাত্রদের। তার সঙ্গেই সেই প্রশ্নগুলির উত্তরও কী হতে পারে তা বলে দেওয়া হয়েছিল। সূত্রের খবর, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রের মৃত্যুতে উঠে এসেছে এমনই নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। (Jadavpur University student death)
পড়ুয়ার মৃত্যুর পর মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৪ বার জিবি বৈঠক হয়েছিল। (JU Student Death) সেগুলির নেতৃত্বে ছিলেন প্রাক্তনীরা। বুধবার, রাত পৌঁনে ১২টা নাগাদ পড়ে যায় ওই পড়ুয়া। এরপর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় যাদবপুরের কেপিসি মেডিক্যাল কলেজে। পরের দিন সকালে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। শুক্রবার, মৃতের বাবার বয়ানের ভিত্তিতে রুজু হয় FIR। তদন্ত শুরু করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় হস্টেলের পড়ুয়াদের।
অর্থাৎ, ছাত্র-মৃত্যুর পর প্রায় ২৪ ঘণ্টা সময়জুড়ে পুলিশ অধিকারিকরা হস্টেলে গিয়ে পড়ুয়াদের জিজ্ঞাসাবাদ করেননি। সূত্রের খবর, সেই সময়ের মধ্যেই হস্টেলে ৪ বার জেনারেল বডি মিটিং হয়েছে। বৈঠকের নেতৃত্বে ছিলেন এমন প্রাক্তনীরা যাঁরা এই হস্টেলেই থাকতেন।
কেন এই জেনারেল বডি মিটিং?
জিবি বৈঠকগুলোর এজেন্ডা ছিল, পুলিশ আধিকারিকরা কী প্রশ্ন করতে পারেন? সেক্ষেত্রে ঠিক কী উত্তর হবে, তাও নির্দিষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথম থেকেই বেশ কয়েকটি বিষয়ে খটকা লাগে। ঘটনার পরেই কয়েকজন তড়িঘড়ি হস্টেল ছেড়ে চলে যান। গা ঢাকা দেন কয়েকজন প্রাক্তনী। এই সব কারণেই হঠাৎ করে হস্টেলে কমে যায় আবাসিকদের সংখ্যা। এরপর যখন পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে, তখন নাকি জিজ্ঞাসাবাদের কারণে একই রকম বয়ান দিতে থাকেন পড়ুয়া ও আবাসিকরা। তদন্তকারীদের সন্দেহ, বয়ানের বাঁধা গৎ প্রাক্তনীদের শেখানো বুলি।
যাদবপুরকাণ্ডে ধৃত প্রাক্তনীদের মধ্যে একজন সুমন নস্কর। তিনি ঘটনার সময় সেখানে ছিলেন কিনা, সাংবাদিকের এই প্রশ্নে তাঁর দাবি, 'সেই মুহুর্তে ছিলাম না। সেদিন ছিলাম, হস্টেলে ছিলাম। কিন্তু, ওই মুহুর্তে ওখানে ছিলাম না। সেদিন আমি যখন হস্টেলে ঢুকি, দেখলাম ওকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।'
তদন্তকারী মনে করছেন, গোটা বিষয়টা সামনে চলে আসলে বহু পড়ুয়ার যোগ থাকার তথ্য সামনে আসবে। এর পাশাপাশি, প্রাক্তনীদের উস্কানির বিষয় প্রকাশ্যে চলে আসবে। তাই তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করতেই এই ধরনের শিখিয়ে-পড়িয়ে নেওয়ার বিষয়টি করা হয়েছিল।
এদিকে বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় যুক্ত থাকার সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে আরও ৬ জনকে। অর্থাৎ এই নিয়ে মোট ৯ জন পড়ুয়া ও প্রাক্তনীকে গ্রেফতার করা হল।