সমীরণ পাল, জগদ্দল: ট্রেকিং একটা নেশা। জীবনকে তুচ্ছ করেও যার নেশায় দেশেবিদেশে ছুটে যান মানুষ। তার মধ্যে অনেকে বাড়ি ফেরে আবার কেউ চলে স্মৃতির আড়ালে। সেই রকমই একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল জগদ্দলের (Jagaddal)  কেউটিয়া জগদ্ধাত্রীতলার বাসিন্দা সুব্রত প্রামাণিকের সঙ্গে।


আরও পড়ুন: RG Kar Lady Doctor's Murder: সেমিনার রুম রক্ষার দায়িত্বে ছিলেন, সেই অতিরিক্ত OC-কে এবার তলব CBI-এর; আউটপোস্টের পুলিশ কর্মীদেরও ডাক


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৪৮ বছরের সুব্রত প্রামাণিক ইছাপুর মেটাল অ্যান্ড স্টিল ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন। আর কাজের ফাঁকে সময় পেলেই বেরিয়ে পড়তেন বিভিন্ন পাহাড়-পর্বতে ট্রেক করতে। সেই ট্রেকিংয়ের নেশাই প্রাণ কাড়ল তাঁর। সুস্থ সবল অবস্থায় বাড়ি থেকে বের হলেও ফিরলেন মৃতদেহ হয়ে।


আরও পড়ুন: Sandip Ghosh : সত্যি বেরিয়ে আসবে সুড়সুড় করে, এবার সন্দীপের পলিগ্রাফ টেস্টের অনুমতি দিল আদালত


অগাস্ট মাসের ১৩ তারিখ ৬ সহকর্মীর সঙ্গে হিমাচল প্রদেশের মাউন্ট সিঙ্কুন ওয়েস্ট পাহাড়ে ট্রেকিং করতে গিয়েছিলেন সুব্রত। সেখান থেকে ২১ তারিখে ট্রেকিং করতে পাহাড়ে ওঠার সময় তিনি শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন। বিষযটি লক্ষ্য করে তাড়াতাড়ি চিকিৎসার জন্য সেখান থেকে নিচে নামার চেষ্টা করা হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। আর ওইদিন বিকেলে সুব্রতবাবুর জগদ্দলের কেউটিয়া জগদ্ধাত্রীতলা এলাকার বাড়িতে খবর আসতেই এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। শুক্রবার মৃত সুব্রত প্রামাণিকের মৃতদেহটি তাঁর বাড়িতে নিয়ে আসার কথা।


প্রতিবেশীদের সূত্রে জানা গেছে, ছোট থেকেই দুর্গম পার্বত্য এলাকায় ট্রেকিংয়ের শখ ছিল সুব্রতর। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা আরও বৃদ্ধি পায়। চাকরি পাওয়ার পর ছুটি পেলেই দেশের বিভিন্ন দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে দলবল জুটিয়ে ট্রেকিং করতে বেরিয়ে পড়তেন তিনি। ৪৮ বছর বয়সের মধ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ট্রেকিং করেছেন তিনি। দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে ট্রেকিং করার আলাদা একটা অনুভূতি আছে বলেই প্রতি বছর সঙ্গী জুটিয়ে নিত্যনতুন জায়গার উদ্দেশে বেরিয়ে পড়তেন সুব্রত। তবে এবার আর বাড়ি ফেরা হল না।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: RG Kar Case Update: CBI তদন্ত নিয়ে ধৈর্যচ্যুতি? ডাক্তারদের সঙ্গে আন্দোলনে এবার নির্যাতিতার বাবা-মাও?