Kolkata Neurosciences Institute: একমাসও হয়নি মারা গিয়েছেন স্ত্রী, ছেলেকে দেখেও মন গলেনি, সুজিতের এমন পরিণতির কারণ ঠিক কী!
Kolkata News: কী কারণে এমন ঘটনা ঘটালেন সুজিত? কোত্থেকে এমন দুর্বুদ্ধি মাথায় এল তাঁর? মানসিক হতাশা থেকেই কি এমন বিপজ্জনক চিন্তা মাথায় খেলে যায় তাঁর?
কলকাতা: পাঁচ, দশ মিনিট নয়, প্রায় দু'ঘণ্টা ধরে চোখের সামনে রুদ্ধশ্বাস টানাপোড়েন। হাসপাতাল কর্মী থেকে দমকল এবং সর্বোপরি বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন সকলেই। কিন্তু তার পরেও নিরাপদে উদ্ধার করা যায়নি মল্লিকবাজারের ইনস্টিটিউট অফ নিউরো সায়েন্সেস-এ (Kolkata Neurosciences Institute) ভর্তি রোগী সুজিত অধিকারীকে। ৮ তলার কার্নিশ ধরে ঝুলে থাকার পর শেষমেশ হাত ফস্কে নিচে পড়ে যান তিনি (Patient Falls Down)। এই মুহূর্তে তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক বলে জানা গিয়েছে।
কার্নিশ ধরে কেন ঝুলতে গেলেন সুজিত অধিকারী!
এই ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে চুুলচেরা বিশ্লেষণের মধ্যেই উঠে আসছে বেশ কিছু প্রশ্ন, যেমন কী কারণে এমন ঘটনা ঘটালেন সুজিত? কোত্থেকে এমন দুর্বুদ্ধি মাথায় এল তাঁর? মানসিক হতাশা থেকেই কি এমন বিপজ্জনক চিন্তা মাথায় খেলে যায় তাঁর? সঠিক উত্তর না মিললেও, সুজিতের জীবনে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা তাঁকে এমন বিপদের দিকে ঠেলে দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিবার বলতে বাড়িতে রয়েছেন সুজিতের ৮৭ বছরের ঠাকুমা, ৯ এবং ২.৫ বছরের দুই ছেলে। লোহার ছাঁটের ব্যবসা করতেন সুজিত। ২০-২৫ দিন আগে তাঁর স্ত্রী রিয়া অধিকারী মারা যান। মৃত্যুর মাস দুয়েক আগে কিডনির সমস্যা ধরা পড়ে তাঁর। স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে যায় সুজিতের। ধারদেনা করে সেই টাকা জোগাড় করেছিলেন তিনি। তাতেও বাঁচাতে পারেননি স্ত্রীকে।
View this post on Instagram
আরও পড়ুন: Kolkata Neurosciences Institute : ৮ তলার কার্নিস থেকে হাত ফসকে নিচে পড়ে গেলেন রোগী
স্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকেই সুজিত হতাশায় ডুবে যান বলে জানা গিয়েছে। মাঝে মাঝে খিঁচ ধরত বলেও জানা গিয়েছে। গত ২৩ জুন বাড়ির শৌচাগারে পড়ে যান তিনি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে অজ্ঞান হয়ে যান। তার পর মল্লিকবাজারের ইনস্টিটিউট অফ নিউরো সায়েন্সেস-এ আনা হয় (Kolkata News)।
এ দিন কাণ্ড শুনে সুজিতের বড় ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে কার্নিশের নিচে হাজির হন তাঁর ঠাকুমা, যাতে ছেলেকে দেখে মায়া হয়, কার্নিশ থেকে নেমে আসেন সুজিত। কিন্তু যা ভয় করেছিলেন, শেষমেশ তাই ঘটল।
অবসাদ থেকেই বিপজ্জনক পদক্ষেপ!
সুজিতের ঠাকুমা জানিয়েছেন, ছোটবেলাতেই মাকে হারান সুজিত। বাবা তার পর নিরুদ্ধে হয়ে যান। ঠাকুমার কাছেই বেড়ে ওঠা। স্ত্রীর মৃত্যুর পরই পাল্টে অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে সুজিতের। স্ত্রীর মৃত্যুর পর পাড়ার ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের দিকে সুজিত তাকিয়ে থাকতেন বলেও জানিয়েছেন তাঁর ঠাকুমা।