Kunal Ghosh:'২ সরকারের এজেন্সির বিরুদ্ধেই লড়াই চলছে', সারদা-মামলায় গ্রেফতারির ১০ বছরে 'বিস্ফোরক' কুণাল
Sarada Scam Case:সারদা-মামলায় গ্রেফতারির ১০ বছরে এক্স হ্যান্ডলে বিস্ফোরক কুণাল ঘোষ। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পোস্ট, 'ঠিক ১০ বছর আগে আজকের তারিখে বিনা দোষে চক্রান্তমূলকভাবে আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।'
কলকাতা: সারদা-মামলায় (Sarada Scam Case) গ্রেফতারির ১০ বছরে এক্স হ্যান্ডলে বিস্ফোরক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh Sensational Claim)। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পোস্ট, 'ঠিক ১০ বছর আগে আজকের তারিখে বিনা দোষে চক্রান্তমূলকভাবে আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। অনেকে ভেবেছিল আমি ধ্বংস হয়ে যাব।...মিথ্যা সাক্ষী, মিথ্যা মামলায় জর্জরিত থেকেও আইনি পথে লড়ছি।...রাজ্য, কেন্দ্র দুই সরকারের এজেন্সির বিরুদ্ধেই লড়াই চলছে।...আমি তৃণমূল কংগ্রেস করছি শুধু এটা প্রমাণ করতে যে, মন থেকেই দলটা করে এসেছি। আমি একজন সৈনিক এবং কুণাল ঘোষ বেইমান নয়।...গ্রেফতারের দিনগুলি এবং আমার ঘাড়ে কলঙ্ক চাপানোর পর্ব ভুলিনি, ভুলব না।'
আজ 23/11/23
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) November 23, 2023
ঠিক দশ বছর আগে আজকের তারিখে বিনা দোষে চক্রান্তমূলকভাবে আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। অনেকে ভেবেছিল আমি ধ্বংস হয়ে যাব। ঈশ্বরের আশীর্বাদে এখনও আছি। মিথ্যা সাক্ষী, মিথ্যা মামলায় জর্জরিত থেকেও আইনে লড়ছি। জীবনযুদ্ধে লড়ছি। সাংবাদিকতা, লেখালিখি, রাজনীতিতে আছি, লড়াই করছি।…
প্রেক্ষাপট...
২০১৩ সালের ২৩ নভেম্বর সারদার একটি মামলায় প্রথম গ্রেফতার হয়েছিলেন বর্তমানে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। পরে সেই মামলাকে চ্যালেঞ্জ করে কোর্টে গিয়েছিলেন। MP MLA কোর্টে শুনানি চলছিল এ যাবৎ। গত বছর জুন মাসে সেই মামলায় অভিযুক্তমুক্ত হয়েছিলেন তিনি। তার পর দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন। অভিযোগমুক্ত হয়ে আদালতের বাইরে দাঁড়িয়ে নাম না করে কুণাল বলেছিলেন,"যাঁরা আমার গ্রেফতারের পিছনে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের চিনি। তাঁরাও আমাকে চেনেন। দু'তিন জন ভুল বোঝানোর কাজ করেছিলেন। ব্যক্তিগত রাগ মেটাতে ভুল গল্প তৈরি করেছেন। গ্রেফতারের দিন দলের কেউ সাহায্য করেনি। আমার লড়াই আমার মতো লড়ে নেব।"আজও কার্যত একসুর ধরা পড়ল তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে। প্রসঙ্গত, সারদা গোষ্ঠীর মিডিয়া কর্মীদের বেতন এবং প্রভিডেন্ট সংক্রান্ত সংক্রান্ত মামলাটি দীর্ঘদিন ধরে চলেছিল। এতে কুণালকেই প্রথম গ্রেফতার করা হয়। সরকারি আইনজীবী পর্যন্ত স্বীকার করেছিলেন, 'যেভাবে কুণালকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাতে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু ২০১৩-'১৪ সালে জমা দেওয়া চার্জশিটে তেমন কিছু নেই।' রায়ের দিন বিচারক বলেন, "শুধু কুণাল নন, অভিযুক্ত সকলকেই ডিসচার্জড ঘোষণা করছি।"