কলকাতা: RG কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volunteer) সঞ্জয় রায়। তারপর থেকে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের মাপকাঠি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিভিন্ন মহল থেকে কটাক্ষ করে বলা হচ্ছে এভাবে রক্ষকই যদি ভক্ষক হয় তাহলে সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দেবে কারা?
এই পরিস্থিতির মধ্যে দাঁড়িয়ে শনিবার সন্ধ্যায় লালবাজারর তরফে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ওপর নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হল (Lalbazar On Civic Volunteer)। এর জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পিনাকি প্রামানিককে। তিনি কে কী করছে তার ওপর নজর রাখবেন বলে জানা গেছে। এর ফলে প্রশাসনের মান যাতে রক্ষা পায় সেই উদ্য়োগ নেওয়া হয়েছে। যদি তাতে কতটা কাজ হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে আরম্ভ করেছে। কারণ এর আগেও নানা সময়ে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ওপরে নজরদারি চালানোর নির্দেশ ছিল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগেও কলকাতা শহরে সিভিক ভলান্টিয়ারদের কু-কীর্তির নানা অভিযোগ উঠেছে। ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে এক্সাইড মোড়ে রাতের বেলায় ছিনতাইয়ের অভিযোগে ধরা পড়া এক যুবককে বেধড়ক মারধরের পাশাপাশি তাকে রাস্তায় ফেলে বুকের ওপর পা দিয়ে ছবি তোলার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তুমুল শোরগাল শুরু হয়েছিল। যার জেরে কলকাতার তৎকালীন পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন। কোনও পুলিশ আধিকারিক ছাড়া সিভিক ভলান্টিয়ারদের কোথাও তল্লাশি বা নিরাপত্তার দায়িত্বে রাখা যাবে না বলে জানিয়ে ছিলেন। দরকারে প্রত্যেক থানার বড়বাবুকে বিষয়টি দেখতে হবে বলে বার্তা দিয়েছিলেন। তারপরও অবশ্য সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠা আটকানো যায়নি। আরজি করের ঘটনা তা প্রমাণ করে দিয়েছে। এখন দেখার লালবাজারের নতুন নির্দেশ কতটা কার্যকরী হয়?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: